Bangladesh News: বাংলাদেশে হিন্দু যুবক খুনের ঘটনায় পদক্ষেপ, গ্রেফতার ৭ !
Bangladesh Unrest: অভিযুক্তদের বয়স ১৯ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে।

ঢাকা : হিন্দু যুবক খুনের ঘটনায় পদক্ষেপ করল বাংলাদেশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে মহম্মদ ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, সাত সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের বয়স ১৯ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে।
পুলিশ জানিয়েছে, কারখানার কর্মী দীপুচন্দ্র দাসকে প্রথমে কারখানার বাইরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জনতা মারধর করে এবং গাছে ঝুলিয়ে দেয়। এরপর জনতা ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের পাশে নিহতের লাশ ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়। শুক্রবার এই ঘটনার নিন্দা করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন বাংলাদেশে এই ধরনের হিংসার কোনও জায়গা নেই বলে বিবৃতিও জারি করে।
ময়মনসিংহ হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৭
— Chief Adviser of the Government of Bangladesh (@ChiefAdviserGoB) December 20, 2025
ময়মনসিংহ, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫: ময়মনসিংহের ভালুকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৭) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাত ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
গ্রেফতারকৃতরা…
বিস্তারিত...
ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য। সাধারণ নির্বাচনের আগে ফের একবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পদ্মাপাড়ের দেশে। ফের আক্রান্ত পদ্মাপাড়ের হিন্দুরা। ময়মনসিংহে দীপুচন্দ্র দাস নামে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুনের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন দীপু। ময়মনসিংহের ভালুকায় ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। হাসিনা-বিরোধী ছাত্রনেতা শারিফ ওসমান হাদির খুনের জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশজুড়ে নৈরাজ্য়ের আগুন জ্বলতে শুরু করে। রাত ৯টা নাগাদ বিক্ষোভের মাঝে পড়ে যান দীপু দাস। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়। এরপর প্রকাশ্য়ে মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দীপু কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। পুলিশের পোশাকধারী বলে মনে হচ্ছে তাঁদের। নীল রঙের ফুলহাতা সোয়েটার জাতীয় ও ট্রাউজার পরে দীপু। খালি পা। ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, তাঁর সামনে থাকা মানুষজনকে তিনি কিছু ব্যাখ্যা করে বোঝাতে চাইছেন। এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা জমানার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনার শেষ নেই। বারবার নানা অভিযোগ উঠেছে।






















