Bangladesh Violence: হাসিনার প্রস্থানে চিনের থাবায় চলে আসবে কি বাংলাদেশও? ভারতের জন্য কতটা চিন্তার ?
Modi On Bangladesh Hasina: ভারত বন্ধু বলে পরিচিত নয় বিএনপি যদি বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসে, আর পেছন থেকে কলকাঠি নাড়াতে শুরু করে চিন - পাকিস্তান, তাহলে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করবে মোদি সরকার?
সন্দীপ সরকার, পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। পতন হল শেখ হাসিনার সরকারের। প্রতিবেশী দেশের এই পরিস্থিতিতে, ভারতের জন্য় কতটা চিন্তার, সেই প্রশ্নও সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, এই পালাবদলের ফলে, বাংলাদেশে চিনের প্রভাব যদি আরও বৃদ্ধি পায়, তাহলে সেটা ভারতের পক্ষে উদ্বেগের বিষয়।
আন্দোলনকারীদের চাপে দেশ ছাড়তে বাধ্য় হলেন ভারত বন্ধু বলে পরিচিত শেখ হাসিনা। যার জেরে চিন্তার ভাঁজ ভারতের কপালে। ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশে দফায় দফায় ক্ষমতায় এসেছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ এবং খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যশনাল পার্টি। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কখনওই অত্য়ন্ত ভাল ছিলনা। উল্টোদিকে বাবা মুজিবর রহমানের মতোই শেখ হাসিনাও বরাবরই ভারতবন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
একদিকে যখন পাকিস্তান, চিনকে নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তার শেষ নেই, তখন শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশকে নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্তে ছিল ভারত। কিন্তু সোমবার হাসিনার ১৫ বছরের সরকারের পতনের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোন পথে এগোবে? ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তান বরাবর চিনের বন্ধু হিসেবেই পরিচিত। ভারতকে চাপে রাখতে গত কয়েক বছরে একে একে ভারতের প্রায় প্রত্য়েকটি পড়শি দেশ নেপাল।
ভুটান থেকে মালদ্বীপ,অর্থ দিয়ে, ঋণ দিয়ে, উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করে তাদের ওপর আধিপত্য় বিস্তার করেছে চিন। একমাত্র শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ভারতের দিকে ছিল। চিন সেভাবে তাদের কব্জায় আনতে পারেনি। এবার হাসিনার প্রস্থানের ফলে কি চিনের থাবায় চলে আসবে বাংলাদেশও? আর সেটা কি ভারতের পক্ষে আরও ভয়ঙ্কর যাবে না? কট্টর ভারত বিরোধী বলে পরিচিত জামাত। অন্য়দিকে কোনওদিনই ভারত বন্ধু বলে পরিচিত নয় বিএনপি যদি বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসে, আর পেছন থেকে কলকাঠি নাড়াতে শুরু করে চিন এবং পাকিস্তান, তাহলে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করবে মোদি সরকার?
আরও পড়ুন, উল্টোডাঙায় বিধ্বংসী আগুন, ঘর ছেড়ে বাইরে স্থানীয়রা,' দেরি করে এসেছে দমকল..'
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ঈশানি নস্কর বলেন, 'হাসিনা ভারতে আসল, থাকল। এরপরও যে পটপরিবর্তন হবে, সেখানেও ভারতকে বাংলাদেশকে বন্ধু করে রাখতে হবে। নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে। হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে যেনও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে না যায়, খেয়াল রাখতে হবে।' হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে ভারতের মাথাব্য়াথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।