Bankura News : "শিকলমুক্তি", সিমলাপালের সেই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে
ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক প্রশাসন ও ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে ওই যুবককে।
পূর্ণেন্দু সিংহ, সিমলাপাল(বাঁকুড়া) : খবরের জের। অবশেষে প্রশাসনিক উদ্যোগে বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের শালবনি গ্রামের বাড়ি থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হল শিকলে বাঁধা সেই যুবককে। গত পাঁচ বছর ধরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় নিজের একচিলতে বাড়িতে দিন কাটাচ্ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক। গত শনিবার সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
স্থানীয় বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর উদ্যোগের জেরে হস্তক্ষেপ করে সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক প্রশাসন ও ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে ওই যুবককে। সেই মোতাবেক আজ সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারী ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যান শালবনি গ্রামে ওই যুবকরে বাড়িতে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়ার হাসপাতালে।
মাটির চার দেওয়ালে বন্দি ছিল জীবন। দু’পায়ে বাঁধা বেড়ি। একদিন-দু’দিন নয়। গত পাঁচ বছর ধরে এভাবেই জীবন কাটিয়েছেন বাঁকুড়ার সিমলাপালের শালবনি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক। পরিবার সূত্রে দাবি, ২০১৬ থেকে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন যুবক। রোগ ধরা পড়ার পর, এভাবেই রাখা হয় তাঁকে।
পরিবারের দাবি, বিপদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতেই আটকে রাখা। অথচ একসময়ে এলাকায় মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল যুবকের। স্নাতক হওয়ার পর, চাকরির চেষ্টাও শুরু করেছিলেন। তারপর হঠাৎই ছন্দপতন। পরিবার সূত্রে দাবি, পাঁচ বছর আগে, পার্শ্বশিক্ষকের ইন্টারভিউ দিয়ে বাড়ি ফেরার কদিন পরই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। এই অবস্থায় অসহায় যুবকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন।
দিন কয়েক আগে কোচবিহারের মাথাভাঙায়, মানসিক ভারসাম্যহীন এক নাবালিকাকে খাঁচায় বন্দি করে রাখার খবর সামনে এসেছিল। সেখানেও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিপদ থেকে বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ, ওই নাবালিকা হুটহাট বাইরে বেরিয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাড়িতে থাকলেও আগুনে সামনে চলে যায়। এই সংক্রান্ত খবর সামনে আসার পর মাথাভাঙার ২ এলাকার বিডিও ওই নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছিলেন। নাবালিকার স্বাস্থ্যপরীক্ষাও করা হয়েছিল।