Parliament Winter Session: বাংলাকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা! সর্বদল বৈঠকে প্রাপ্য বকেয়া নিয়ে সরব সুদীপ, অধিবেশনের আগে শান অস্ত্রে!
Sudip Bandyopadhyay: বাংলাকে আর্থিক ভাবে অবরুদ্ধ এবং অস্থির করে তোলার চেষ্টা চলছে বলে সেখানে অভিযোগ করল তৃণমূল (TMC)।
নয়াদিল্লি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রাপ্য বকেয়া নিয়ে তরজা চরমে। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রেখেছে বলে বার বার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই আবহে এ বার বকেয়া বিতর্ক পৌঁছল লুটিয়েন্স দিল্লিতেও। বাংলাকে আর্থিক ভাবে অবরুদ্ধ এবং অস্থির করে তোলার চেষ্টা চলছে বলে সেখানে অভিযোগ করল তৃণমূল (TMC)।
সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্রক নিশানা সুদীপের, প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ
বুধবার থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের আহ্বানে দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক হল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়েনরা। বৈঠক চলাকালীনই প্রাপ্য বকেয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন সুদীপ। কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি নিশানা করেন তিনি।
এ দিন বৈঠকে সুদীপ অভিযোগ করেন যে, বাংলাকে আর্থিক ভাবে অবরুদ্ধ করা এবং অস্থির করার চেষ্টা হচ্ছে। সর্বদলীয় বৈঠকে সুদীপ বলেন, "কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে প্রতিহিংসার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।" সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের অগ্রাধিকারও এ দিব ঠিক করে দেন সুদীপ। জানান, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে সংসদে আলোচনা চায় তৃণমূল। সেই সঙ্গে তিনি দাবি জানান, সংসদে যেন বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয়।
এ দিনের সর্বদলীয় বৈঠকে ৩০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করে। সংসদীয় প্রক্রিয়া নিয়ে সেখানে নিজের পক্ষ রাখে কেন্দ্র। কোন কোন বিষয় তুলে ধরা হবে শীতকালীন অধিবেশনে, তা নিয়েও বিশদ আলোচনা হয়। এ দিন বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা লোকসভায় বিজেপি-র ডেপুটি দলনেতা রাজনাথ সিংহ। রাজ্যসভার নেতা পীযূস গয়াল, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে
সর্বদলীয় বৈঠকের জন্য একদিন আগেই দিল্লি রওনা দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফের রাজস্থান রওনা দেন বিশেষ বিমানে। বাংলার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সেখানে অজমেঢ় শরিফে যান তিনি। তার পর যান পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরেও। সেখান থেকে ফের দিল্লি ফেরার কথা মমতার। শীতকালীন অধিবেশনের আগে দলের সাংসদদের সঙ্গে কৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা করবেন তিনি।