Mamata Banerjee: ফুল, ধূপ, চাদরের ঝুড়ি মাথায় নিয়ে ফিরহাদ, রাজস্থানে অজমেঢ় শরিফে মমতা, পরের গন্তব্য পুষ্করের মন্দির
Ajmer Sharif Dargah: মমতা অজমেঢ় যাবেন, তা ঠিক হয়েছিল আগেই। সেই মতো এ দিন দুপুরে অজমের শরিফে খোয়াজা মইনউদ্দিন চিস্তির দরগায় পৌঁছন তিনি।
আশাবুল হোসেন, অজমেঢ়: জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি রওনা দিয়েছিলেন একদিন আগেই। তারই মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে রাজস্থান উড়ে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেখানে অজমেঢ় শরিফে (Ajmer Sharif Dargah) পৌঁছলেন তিনি। মাথায় চাদর, ফুল, ধূপের ঝুড়ি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মাথায় চাপিয়ে অজমের শরিফে পৌঁছন মমতা।
মাথায় চাদর, ফুল, ধূপের ঝুড়ি সহযোগীর মাথায় চাপিয়ে অজমের শরিফে মমতা
মমতা অজমেঢ় যাবেন, তা ঠিক হয়েছিল আগেই। সেই মতো এ দিন দুপুরে অজমের শরিফে খোয়াজা মইনউদ্দিন চিস্তির দরগায় পৌঁছন তিনি। ফুল, চাদর, ধূপ কেনেন বাইরে। তার পর সেই ঝুড়ি মাথায় তুলে নেন ফিরহাদ। সেই নিয়ে ঢোকেন দরগায়।
আরও পড়ুন: Gautam Adani: ৬০ বছরের জন্মদিনে ৬০ হাজার কোটি দান! এশিয়ার 'সেরা পরোপকারী'র তালিকায় আদানি
এ দিন ঠিক দুপুর সওয়া ১টায় মাজার শরিফে পৌঁছন মমতা। সেখানকার মূল ফটকের ভিতর আরও একটি রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে খোয়াজা মইনউদ্দিন চিস্তির সমাধিস্থল। তার উপরই ফুল নিবেদন করবেন, চাদর চাপাবেন মমতা। প্রার্থনা করবেন। শুধুমাত্র মুসলিমদের তীর্থক্ষেত্র নয় অজমেঢ় শরিফ। প্রতিদিন বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় করেন। কারণ খোয়াজা মইনউদ্দিন সুফি সাধক ছিলেন। দরিদ্র, দুঃস্থ মানুষের বন্ধ ছিলেন তিনি। অজমেঢ় শরিফে যাওয়ার ইচ্ছা বহুদিনের বলে জানিয়েছেন মমতা। মঙ্গলবার সেই ইচ্ছা পূরণ হল তাঁর।
মঙ্গলবার অজমেঢ় শরিফে মমতাকে দেখতে ভিড় জমে যায়। মোবাইল ফোন নিয়ে ছবি তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে ভিড়। তাঁদের সকলের উদ্দেশে হাত নাড়েন মমতা। হাসিমুখে, নমস্কার করে অজমেঢ় শরিফে ঢোকেন মমতা।
অজমের শরিফ থেকে থেকে পুষ্করও যাবেন মমতা। সেখানে রয়েছে ব্রহ্মার মন্দির। পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের রাজনৈতিক কর্মসূচিও রয়েছে। আগামীকালই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ওই অধিবেশনে দলের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়ে তৃণমূলের সাংসদদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
আজ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তিতে সংহতি দিবস পালন করছে তৃণমূল
এ দিকে, আজ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি। এই দিনটি তৃণমূল সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। আজও তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সভার আয়োজন করা হয়েছে।