Dhankar letter to Mamata: 'অবস্থান বদলান আর সংবিধান রক্ষার শপথকে মান্যতা দিন' মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি রাজ্যপালের
এদিন সন্ধেতেই রাজ্যপালের কোচবিহার সফর নিয়ে দু-পাতার কড়া চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, 'কয়েক দশকের প্রথা ভেঙে জেলা সফর করছেন। আপনার এই পদক্ষেপ দুর্ভাগ্যজনক।'
কলকাতা : রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতে নয়া মোড়। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা কড়া চিঠি রাজ্যপালের। দু-পাতার চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে জগদীপ ধনকড়ের বার্তা, 'আশা রাখি অবস্থান বদলাবেন এবং সংবিধান রক্ষার যে শপথ নিয়েছেন তাকে যথোপযুক্ত মর্যাদা দেবেন।' পাশাপাশি সংবিধানের ১৫৯ ধারার উল্লেখ করে রাজ্যপাল জানান, সংবিধান ও আইন রক্ষার করার যে শপথ নিয়েছি, তা যথাসম্ভব পালন করব।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর লেখা পাল্টা দু-পাতার চিঠি সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যেখানে তিনি সাফ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির ভিত্তিতেই তাঁর এই উত্তর। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা তাঁর চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে লিখেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির প্রত্যুত্তরে তাঁকে বলতে চাইব আশা রাখি অবস্থান বদলাবেন এবং সংবিধানর রক্ষার যে শপথ নিয়েছেন তা মেনে চলবেন ও রক্ষা করবেন। এই সময়টা যারা অসহায়তার মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছে তাদের পাশে থাকা দরকার। সাংবিধানিক ক্ষমতার মধ্যে যা করা সম্ভব সেটা করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।' যার পরের ট্যুইটেই জগদীপ ধনকড় জুড়েছেন, 'সংবিধানের ১৫৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের সংবিধান ও আইন রক্ষা করার জন্য শপথ নেওয়া কথা রক্ষা কবর, যার জন্য নিজের সবটা দেব।'
বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের কোচবিহার সফর নিয়ে সন্ধেতেই তাঁর উদ্দেশে কড়া চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের উদ্দেশে দু-পাতার চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'রাজ্যপালের ব্যক্তিগত বা সরকারি সফর রাজ্যকে জানিয়ে করার নিয়ম। কোচবিহার সফরে যাচ্ছেন, জানলাম সোশাল মিডিয়া থেকে। কয়েক দশকের প্রথা ভেঙে জেলা সফর করছেন। আপনার এই পদক্ষেপ দুর্ভাগ্যজনক।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চিঠিতে জুড়েছিলেন, ‘রাজ্য প্রশাসনকে এড়িয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করায় যায় না। ২৬ সেপ্টেম্বর দেওয়া পরামর্শও আপনি মানেননি। ক্রমাগত সেই অনুরোধ আপনি অগ্রাহ্য করেছেন। আবারও অনুরোধ, এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকুন।' যে চিঠি পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা পত্রাঘাত রাজ্যপালের।
গতকাল সন্ধেয় ট্যুইট করে বৃহস্পতিবার শীতলকুচি যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ট্যুইট করে জগদীপ ধনকড় জানিয়েছিলেন, ১৩ মে বিএসএফ-এর হেলিকপ্টারে হিংসা কবলিত অঞ্চলগুলি পরিদর্শনে যাবেন। শীতলকুচি সহ কোচবিহারের বিভিন্ন হিংসাবিধ্বস্ত অঞ্চলে যাবেন তিনি। পাশাপাশি যে ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হ্যাশট্যাগে জুড়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের যে সফর নিয়ে গতকালই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কটাক্ষ করেছিলেন, 'ওসব ওনার কাজ নয়'। যদিও বিজেপি রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের পক্ষেই দাঁড়িয়েছিল। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, এতে ভুল কিছু নেই, উনি যেতেই পারেন।