Jalpaiguri: ডুয়ার্সের কেরন চা বাগান থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ
Dooars: আজ সকালে চা বাগান থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। পুলিশ খুনের তদন্ত শুরু করার কথা জানালেও, মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, নাগরাকাটা: ডুয়ার্সের (Dooars) কেরন চা বাগান (Tea Estate) থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল নাগরাকাটা থানার (Nagrakata Police Station) পুলিশ। এই ঘটনায় ওই অঞ্চলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কানছা অসুর। তাঁর বয়স ৫০ বছর। বাড়ি চা বাগানের মাথু লাইনে। মৃত ব্যক্তি পেশায় শ্রমিক।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে গেট লাইনের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় কানছা অসুরকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার জানিয়েছেন, ‘এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন হিমঘরে বন্ড পাওয়া নিয়ে ধুন্ধুমার জলপাইগুড়িতে, চাষিদের দিকে অভিযোগের আঙুল
পুলিশ খুনের তদন্ত শুরু করার কথা জানালেও, মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। মৃত কানছা অসুরের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, সেটা বলতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। তাঁরা এ বিষয়ে ধন্দে। কানছা অসুরকে খুন করা হয়েছে কি না, সে বিষয়েও তাঁর পরিবারের লোকজন কিছু বলতে পারছেন না।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি মাল ব্লকের মানাবাড়ি চা বাগানে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওদলাবাড়ি রেল লাইনে পাওয়া যায় দেহ। ওই চা বাগানেরই অন্য সেকশনে আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে রাতে নিঁখোজ হয়ে যায় ছাত্রী। এরপর ২৭ জানুয়ারি নিখোঁজ কিশোরীর পরিবার নিউ মাল স্টেশনে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করে। মৃতার পরিবারের লোকজন এবং আত্মীয়রা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হননি। তাঁরা উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানান। প্রয়োজনে ফের ময়নাতদন্তের দাবিও জানান তাঁরা। এরপর পুলিশ আধিকারিক ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর খুঁড়ে ছাত্রীর মৃতদেহ বের করে ফের ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।