এবার বিনামূল্যে দরিদ্রদের চশমা, ২০২৫-এর মধ্যে সবার চক্ষু পরীক্ষা, ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের উদ্বোধনে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এবার রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প। দরিদ্রদের জন্য দেওয়া হবে বিনামূল্যে চশমা। ৮ লক্ষ ২৫ হাজার চশমা বিনামূল্যে বিতরন করা হবে।

কলকাতা: এবার রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প। সবার জন্য  চক্ষু চিকিৎসা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে এই নতুন প্রকল্প ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।এই প্রকল্পের আওতায়  দরিদ্রদের জন্য দেওয়া হবে বিনামূল্যে চশমা। ৮ লক্ষ ২৫ হাজার চশমা বিনামূল্যে বিতরন করা হবে। ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের উদ্বোধনে এমনই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু বয়স্করাই নন, এই প্রকল্পের আওতায় সবার জন্যই চোখের চিকিৎসার সুবিধা থাকছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদেরও বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে। রাজ্যের প্রায় ৪ লক্ষ পড়ুয়ার চক্ষু পরীক্ষা করা হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও  শিশুদের  চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে। ২০২৫-এর মধ্যে সকলের চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা। কাল থেকে পর্যায়ক্রমে চালু হবে প্রকল্প।’ এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে  সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছানি অপারেশনও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে বারোশ গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরের ১২০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই প্রকল্পটি চালু হবে। পরে ধাপে ধাপে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,  ‌২০২৫–এর মধ্যে সকলের চোখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াই সরকারের লক্ষ্য। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ট্রমা কেয়ারেরও উদ্বোধন  করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গের মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে পারবেন। পিজি-তে প্রথম ১০০ কোটি টাকা খরচ করে চালু করা হয়েছিল। ১০ কোটি টাকা খরচ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ট্রমা কেয়ার চালু করা হয়েছে। এ রকম ট্রমা সেন্টার বিভিন্ন জায়গাতেও হবে। উত্তরবঙ্গের মানুষ ঘরের পাশেই সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা পাবেন। এজন্য আর কলকাতায় আসার প্রয়োজন হবে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘অশোকনগরে ওএনজিসি তেলের হদিশ পেয়েছে।   হলদিয়া পরিশোধনাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে আবেদন করেছিলাম। অনুসারী শিল্প তৈরিতে জমি দিতে রাজি রাজ্য সরকার।’