WB Election 2021: পায়ের তলায় মাটি নেই তৃণমূলের, তাই দুয়ারে সরকার: রাজীব
পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কিছুদিন আগেই দলবদলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিন পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের তৃণমূল সরকার সার্বিকভাবে ব্যর্থ।
কলকাতা: পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কিছুদিন আগেই দলবদলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিন পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের তৃণমূল সরকার সার্বিকভাবে ব্যর্থ।
রাজীব বলেছেন, ‘ভোট এসে গেছে বলে দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধানের মতো কর্মসূচী সরকারকে নিতে হয়েছে। কারণ, ‘পায়ের তলায় মাটি নেই, এ কথা বুঝতে পেরে গেছেন’।
এবারের অন্তর্বর্তী বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজীব। তাঁর অভিযোগ, ‘বাজেটের আকারে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’
গতকাল রাজ্যসভায় নাটকীয়ভাবে সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসস দীনেশ ত্রিবেদী। বলেছিলেন, তৃণমূলে দমবন্ধ হয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলেছেন, ‘যাঁর আত্মসম্মান বোধ আছে তৃণমূলে তাঁদের দমবন্ধ হবেই।’
তৃণমূল নেতাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের আক্রমণের ভাষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজীব। তাঁর প্রশ্ন, ‘যে ধরণের ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা কি বাংলার সংস্কৃতি?’
রাজীব বলেছেন,‘জোড়াবাগানের ঘটনার পর বলা যায় যে মেয়েরা সুরক্ষিত?’
উল্লেখ্য, তৃণমূল ছাড়ার পর থেকে বারেবারেই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলছেন রাজীব। দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহর বাড়িতে বিজেপিতে যোগদানের পর রাজীব বলেছেন, অমিত শাহ রাজ্যের জন্য বিশেষ প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পরের দিন বিজেপির সভায় বলেছিলেন, রাজ্যে ও কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকলে উন্নতি ত্বরাণ্বিত হবে।
এদিনও তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া কোনও রাজ্য উন্নয়ন করতে পারে না। মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিজেপি নেতারা কেন্দ্রের কিষাণ সম্মান নিধি ও আয়ুষ্মাণ প্রকল্প রাজ্যে রূপায়ণ না করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা করে আসছেন। রাজীব ফের এ বিষয়ে সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কৃষাণ সম্মান নিধি না দেওয়ায় বাংলার কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
কিষাণ সম্মানের সঙ্গে কৃষক বন্ধু প্রকল্পও চালু হওয়া উচিত।আয়ুষ্মান ভারতের সঙ্গে চলুক স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পও।’