R Madhavan: ‘বিপদে পড়তে পারি, তাও বলব…’, পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে সরব অভিনেতা আর মাধবন
NCERT History Distortion Allegations: বর্তমান পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকতে পারছেন না, জানালেন মাধবন।

মুম্বই: পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ নিয়ে এবার সরব হলেন অভিনেতা আর মাধবন। বর্তমানে স্কুলে যে ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তিনি। জানালেন, দেশের অতীতের একটি বড় অংশ, দক্ষিণের ইতিহাসও পাঠ্যবইয়ে উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। সম্প্রতি অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘Kesari Chapter 2’ ছবিতে দেখা যায় মাধবনকে। অক্ষয় কুমারের সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দহরম মহরম নিয়ে নানা জল্পনা রয়েছে। মাধবন জানিয়েছেন, নিজের মতামত জানানোর জন্য হয়ত বিপদে পড়বেন তিনি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকতে পারছেন না। (R Madhavan)
মাধবনের বক্তব্য, “এর জন্য হয়ত বিপদে পড়ব আমি। কিন্তু আমাকে বলতেই হবে। আমি স্কুলে যখন ইতিহাস পড়ি, মুঘলদের নিয়ে আটটি অধ্যায়, হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়ো নিয়ে দু’টি অধ্যায়, ইংরেজ শাসন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে চারটি অধ্যায় এবং দক্ষিণের চোল-পাণ্ড্য-পল্লব-চেরাদের নিয়ে মাত্র একটি অধ্যায় ছিল। অথচ মুঘল এবং ইংরেজদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে, চোল সাম্রাজ্যের ইতিহাস ২৪০০ বছরের। মুঘল ও ইংরেজদের ইতিহাস সবমিলিয়ে ৮০০ বছরের। তাদের হাতেই সমুদ্রযাত্রা এবং নৌশক্তির পত্তন। রোম পর্যন্ত মশলা রফতানি হতো। ইতিহাসের সেই সব অংশ কোথায়? প্রবল শক্তিশালী নৌবাহিনীকে দিয়ে আঙ্কর বাট মন্দির (কম্বোডিয়ায়) নির্মাণের উল্লেখ কোথায়? চিনে জৈন, বৌদ্ধ এবং হিন্দুধর্মের প্রসার ঘটে। কোরিয়ার লোকজন অর্ধেক তামিল বলতে পারেন। আমাদের ভাষা সেখানেও পৌঁছে যায়। এই সব কিছু একটি অধ্যায়ের মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে।” (NCERT History Distortion Allegations)
তামিল ভাষার প্রতি অবহেলাপূর্ণ আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মাধবন। তাঁর বক্তব্য, “পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা তামিল। কিন্তু সেই ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না, তার উদযাপন হয় না। এটা কার ভাষ্য? সিলেবাসকে ঠিক করেন? তামিল পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা, কিন্তু কেউ জানেনই না। আমাদের সংস্কৃতিতে বিজ্ঞানের যে ব্যাপ্তি, এখন তাকে উপহাস করা হচ্ছে।”
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডকে প্রেক্ষাপটে রেখেই ‘Kesari Chapter 2’ ছবির কাল্পনিক কাহিনি বোনা হয়েছে। পাঠ্যবইয়ে সেই জালিয়ানওয়ালাবাগের বর্ণনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মাধবন। তাঁর কথায়, “ইতিহাসে ইংরেজদের ধারণাই ফুটে উঠেছে, যে নিশ্চয়ই আমাদের কোনও ভুল থেকে থাকবে।”
যে সময়ে মাধবন এই মন্তব্য করলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পাঠ্য়বই থেকে দিল্লির সুলতান এবং মুঘলদের অধ্যায় বাদ দেওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে সমালোচনায় বিদ্ধ National Council of Educational Research and Training (NCERT). পরিবর্তে ইতিহাস বইয়ে ঢোকানো হয়েছে কুম্ভমেলা, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘বেটি বাঁঁচাও বেটি পড়াও’, ‘চারধাম যাত্রা’র আখ্য়ান। সেই আবহেই ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন মাধবন।






















