(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Burdwan Blast Update: খাগড়াগড়কাণ্ডে ২৯ বছরের জেল কওসরের
তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ফরেনার্স অ্যাক্ট বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৪-র ২ অক্টোবর অষ্টমীর সকালে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বর্ধমানের খাগড়াগড়। মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। চার বছর পর ২০১৮-র অগাস্টে বেঙ্গালুরু থেকে কওসরকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ।
আবীর দত্ত, কলকাতা: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করল আদালত। জামাত জঙ্গি কওসর ওরফে বোমারু মিজানকে ২৯ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালত।
তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ফরেনার্স অ্যাক্ট বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৪-র ২ অক্টোবর অষ্টমীর সকালে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বর্ধমানের খাগড়াগড়। মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। চার বছর পর ২০১৮-র অগাস্টে বেঙ্গালুরু থেকে কওসরকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, খাগড়াগড়ের যে ভাড়াবাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেখানেই আইইডি তৈরির কারবার চালাত জামাত জঙ্গিরা।
যে নেটওয়ার্কের মাথা ছিল কওসর। সে ছিল বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন ‘জামাত-উল-মুজাহিদিনের’ ভারতীয় শাখার প্রধান। বাংলাদেশে বিস্ফোরণের ঘটনায় সাজাও হয়েছিল কওসরের। প্রতিবেশী দেশে তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও ছিল। তবে বাংলাদেশে একবার পুলিশের হাত থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল শাগরেদরা।
অল্প সময়ে কীভাবে আইইডি বানানো যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধহস্ত ছিল কওসর। ছদ্মবেশ নেওয়াতেও সে ছিল অত্যন্ত পারদর্শী। বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণেও অন্যতম মাথা ছিল কওসর। এখনও পর্যন্ত খাগড়াগড়কাণ্ডে কওসর সহ ৩১জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।