Behala-Digha Bus Service: ঘুরে আসুন দিঘা-তারাপীঠ, চালু সরশুনা থেকে বাস পরিষেবা
Digha and Tarapith Bus Service started from Sarshuna: দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অধীন সরশুনা বাস ডিপো কিছুদিন আগেই নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। এবার সেখান থেকেই দুটো নতুন বাস পরিষেবা শুরু হল। সরশুনা-দিঘা ভায়া কলকাতা এবং সরশুনা-তারাপীঠ ভায়া কলকাতা ও দক্ষিণেশ্বর। প্রতিদিন সকাল ৬টায় সরশুনা থেকে ছাড়বে তারাপীঠের বাস। কলকাতা ডিপো হয়ে তারাপীঠের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ৭.১৫-এ।
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বাঙালি সুযোগ পেলেই বেড়াতে বেরিয়ে পড়ে। উইকএন্ড তো বটেই, তার আগে পরে যদি একটা দুটো ছুটি পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। দু-তিন দিনের ছুটি কাটাতে নিঃসন্দেহে কলকাতা বা আশপাশের মানুষের পছন্দের ডেস্টিনেশনের তালিকায় ওপরের দিকে থাকে দিঘা এবং তারাপীঠ।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অধীন সরশুনা বাস ডিপো কিছুদিন আগেই নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। এবার সেখান থেকেই দুটো নতুন বাস পরিষেবা শুরু হল। সরশুনা-দিঘা ভায়া কলকাতা এবং সরশুনা-তারাপীঠ ভায়া কলকাতা ও দক্ষিণেশ্বর। প্রতিদিন সকাল ৬টায় সরশুনা থেকে ছাড়বে তারাপীঠের বাস। কলকাতা ডিপো হয়ে তারাপীঠের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ৭.১৫-এ।
সরশুনা থেকে তারাপীঠ ভাড়া পড়বে ২৩০ টাকা। কলকাতা ডিপো থেকে উঠলে লাগবে ২২০ টাকা। দিঘার বাস সরশুনা ডিপো থেকে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল ৬.৪৫। কলকাতা ডিপো হয়ে তা দিঘার উদ্দেশ্যে রওনা হবে সকাল ৮টায়। সরশুনা থেকে দিঘার ভাড়া ১৬৬ টাকা এবং কলকাতা ডিপো থেকে ১৫৪ টাকা। প্রজাতন্ত্র দিবসে এই দুই বাস পরিষেবার সূচনা করলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথম দিনের যাত্রীদের বিনা ভাড়ায় ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এদিকে ফের রেকর্ড গড়ল জ্বালানির দাম। আজ, মঙ্গলবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮৭ টাকা ৪৫ পয়সা। কলকাতায় এদিন লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ৩৫ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৯ টাকা ৮৩ পয়সা। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
করোনার সঙ্কটের পর থেকেই সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব স্থিতিশীল অবস্থায় নেই। অক্সফ্যামের রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, লকডাউনের সময় ভারতের ধনকুবেরদের সম্পদ বেড়েছে গড়ে ৩৫ শতাংশ। উল্টো দিকে ভারতেই ৮৪ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে বিভিন্ন ভাবে।
গত বছর এপ্রিলেই প্রতি ঘণ্টায় কাজ হারিয়েছেন ১.৭ লক্ষ মানুষ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত বছর মার্চ অর্থাৎ লকডাউন কার্যকর হওয়ার সময় থেকে ভারতের ১০০ ধনকুবেরের যে পরিমাণ সম্পদ বেড়েছে তাতে তাঁরা দেশের ১৩ কোটি ৮০ লক্ষ দরিদ্রতম মানুষকে ৯৪ হাজার ৪৫ টাকা করে দান করতে পারতেন। অর্থাৎ, এই রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, গরীব আরও গরীব। কিন্তু, তারইমধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে শিয়রে সঙ্কট!