ছাত্র বিক্ষোভে বন্ধ চারুচন্দ্র, ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, বিকেলেই খুলল কলেজ
কলকাতা: ছাত্র বিক্ষোভে হঠাত্ বন্ধ চারুচন্দ্র কলেজ। রিপোর্ট চাইলেন ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষক-পড়ুয়া-২ পক্ষেরই ভূমিকার সমালোচনা। বিকাশ ভবনে কলেজ কর্তৃপক্ষককে নিয়ে বৈঠক। শেষপর্যন্ত বিকেলেই খুলল কলেজ। চারুচন্দ্র কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। কলেজ কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে সম্প্রতি সুকুমার সেন নামে নিরাপত্তারক্ষীকে কলেজের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়। এই ইস্যুকে সামনে রেখে, ছাত্র সংসদের পদাধিকারীদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুর তিনটে থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখা হয়। অভিযোগ, প্রবীণ অধ্যাপক সমীর বেরা এবং অশিক্ষক কর্মী রঞ্জিত ঘরাইকে মারধর করে আন্দোলনকারীরা।। হেনস্থা করা হয় অন্যান্য অধ্যাপকদের। ঘেরাওমুক্ত হয়ে রাত আটটার পর পাল্টা আন্দোলনে নামেন অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। কলেজ গেটে শুরু হয় অবস্থান। বুধবার সকালে নোটিস ঝুলিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ থাকবে। যদিও সরকার বুঝিয়ে দেয়, কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত তারা ভাল চোখে দেখছে না। দু’পক্ষের ভূমিকারই সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপরই বৈঠকের জন্য শিক্ষা দফতরে ডাকা হয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে। সরকারের মনোভাব বুঝে, বিকেল পাঁচটা নাগাদ কলেজ বন্ধের নোটিস সরিয়ে ফেলা হয়। খুলে দেওয়া হয় গেট। সন্ধে সওয়া ছ’টা নাগাদ শিক্ষা দফতরের সেক্রেটারি মধুমিতা রায়ের ঘরে একটি বৈঠক হয়। সেখানে কলেজের অধ্যক্ষ এবং দু’জন অধ্যাপক হাজির ছিলেন। তাঁরা বলেন, নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েছি। কাল থেকে কলেজে পঠনপাঠন শুরু হবে। আন্দোলনকারী টিএমসিপি নেতারা অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ-সহ কর্তৃপক্ষের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের এই দাবি মানতে নারাজ। মঙ্গলবার রাতেই ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি-সহ কয়েকজনের নামে টালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তারা। বুধবার সরকারের তরফে দুই যুগ্ম উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা চারুচন্দ্র কলেজে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন।