এক্সপ্লোর
Advertisement
বামেদের নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার, খণ্ডযুদ্ধে আহত বেশ কয়েকজন বাম কর্মী, পুলিশ
কলকাতা: ১১টি বামপন্থী সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। বাম কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ। আহত বেশ কয়েকজন বাম কর্মী। কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হন।
নবান্ন অভিযান শুরুর আগেই নবান্নে ঢোকার চেষ্টা করেন সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য-সহ পাঁচ বাম বিধায়ক। বিধায়ক স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে চড়ে নবান্নের নর্থ গেটের সামনে পৌঁছে যান সুজন, তন্ময়, মানস মুখোপাধ্যায়, আনিসুর রহমান ও অশোক ভট্টাচার্য। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাম বিধায়করা পৌঁছে যাওয়ায় পরিস্থিতি বুঝতে সময় লাগে পুলিশকর্মীদের। এরপরই অবশ্য পাঁচ বিধায়ককে আটক করে পুলিশ। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এই ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, যে বাম বিধায়কদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। বিধায়কদের নবান্নে ঢোকার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। এতেও মুক্তি না দেওয়া হলে, যা ঘটবে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকার।
অন্যদিকে, হেস্টিংস মোড়ে দুটি ব্যারিকেড ভাঙেন বাম কর্মীরা। বাঁশ দিয়ে তৃতীয় ব্যারিকেডটি ভাঙার চেষ্টা করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। সেইসময় ফের মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পাল্টা টিয়ার গ্যাসের শেল হাতে নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়েন বাম কর্মীরা। ফের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন পুলিশকর্মীরা। আহত হন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী।
মেয়ো রোডে বাঁশ নিয়ে গার্ডওয়াল ভাঙার চেষ্টা করেন বাম কর্মী ও সমর্থকরা। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। পরে বাম কর্মীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। রেহাই পাননি মহিলারাও। লাঠির ঘায়ে রক্তাক্ত হন বেশ কয়েকজন বাম কর্মী ও সমর্থক।
বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার বেতড় মোড়ও। মিছিল আটকালে পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। আহত হন এক পুলিশকর্মী। এরপরই পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আহত হন বাম কর্মী ও সমর্থকরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান ছোড়ে পুলিশ।
শিবপুরেও আটকানো হয় বামেদের মিছিল। সেখানে বসে পড়েই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম কর্মী ও সমর্থকরা। পরে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও জলের বোতল ছোড়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে, জল কামান ছোড়ে পুলিশ। সেইসময় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় মিছিলকারীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। আহত হন ৩০ জন বাম কর্মী ও সমর্থক। পাল্টা ইটবৃষ্টিতে আহত হন পাঁচ পুলিশকর্মী।
আজ বামেদের নবান্ন অভিযানের জন্য যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, রেড রোড, আলিপুর রোড, এজেসি বোস রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, হেস্টিংস, খিদিরপুর রোডে। হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ব্যাতড় মোড়, শিবপুরের কাজিপাড়া ও আন্দুল রোডের লক্ষ্মীনারায়ণতলায় রয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রয়েছে জল কামান, কাঁদানে গ্যাস, র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। এছাড়াও, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার মুখে ক্যারি রোডেও রয়েছে পুলিশি ব্যারিকেড। যানজট এড়াতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের কলকাতামুখী গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে হাওড়া-আমতা রোড ও টিকিয়াপাড়া বাইপাস দিয়ে। ফোরশোর রোডের পরিবর্তে গাড়িগুলিকে জিটি রোড দিয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
খবর
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement