ফেসবুককাণ্ডে প্রকাশ্যে ভর্ৎসিত হয়েই রেহাই পেলেন ঋতব্রত
কলকাতা: ফেসবুককাণ্ডে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড় কোনও শাস্তি দেওয়ার পথে হাঁটল না সিপিএম। ভর্ৎসিত হয়েই, এবারের মতো রেহাই পেয়ে গেলেন রাজ্যসভার তরুণ সাংসদ। বুধবার ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছিল সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। নেতৃত্বের সামনে হাজির হয়ে ভুল কবুল করেন তিনি। সূত্রের খবর, সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে, বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয়ার্ধে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, সোশাল মিডিয়ায় ঋতব্রতকে নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তা নিয়ে তিনি নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। তাঁর ব্যাখ্যায় দল সন্তুষ্ট নয়। তবে, ঋতব্রত ভুল স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়েছেন, তাই তাঁকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করা হচ্ছে। এখনই বড় কোনও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। সিপিএম সূত্রে খবর, দলের রাজ্যসম্পাদকণ্ডলীর প্রশ্নের মুখে, বুধবার ঋতব্রত দাবি করেন, তাঁকে অন্যায় আক্রমণ করা হচ্ছে। যে পেনটির ছবি দেওয়া হয়েছে, সেটি মঁ ব্লাঁ-র নয়, ওয়াটার ম্যান সংস্থার। পেনটির অত দামও নয়। যে ঘড়িটির কথা বলা হয়েছে, সেটিও অ্যাপেল ওয়াচ নয়। অনেক কম দামি চিনা ঘড়ি। দলের কাছে ঋতব্রত এও অভিযোগ করেন, তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে। তাই মাথা ঠিক রাখতে না পেরে, জনৈক সুমিত তালুকদারের অফিসে তিনি মেল করেছিলেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে, সেই ইমেল প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যদিও সিপিএম সদস্য সুমিত তালুকদার, ঋতব্রতর সেই ইমেলই ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছিলেন। দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যই তুলেছিলেন হুমকির অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতে এদিন সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, দলের নেতা-কর্মী-সদস্যদের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব মন্তব্য করছেন, অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে তা দলের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সোশাল মিডিয়া কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে দলীয় স্তরে শীঘ্রই আচরণ বিধি তৈরি হবে।