উৎকর্ষকেন্দ্রের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ কোটি টাকা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতা: উৎকর্ষকেন্দ্রের জন্য একশো কোটি টাকা দেওয়া হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগেও এদিন সুর চড়ান তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই পরিচিত প্রতিষ্ঠান বিরোধী হিসেবে। বাম জমানা হোক বা তৃণমূল আমল, সরকারের বিরুদ্ধে নানা সময়ে, নানা ইস্যুতে পথে নেমেছে যাদবপুর। এখানকার পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরেই সেখানে গিয়ে উপাচার্যকে সরানোর কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই দরাজহস্ত মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের সম্মেলনে অর্থ দফতরের নথি পড়ে তিনি ঘোষণা করেন, উৎকর্ষকেন্দ্রের জন্য ১০০ কোটি দেওয়া হবে যাদবপুরকে। উচ্চশিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে যাদবপুরকে। সেই ঘোষণাও হল শুক্রবার। এর মধ্যে ১ কোটি টাকা খরচ হবে বই ও ম্যাগাজিন কেনার জন্য। ৪ কোটি টাকা খরচ হবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে। ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। বলেন, যেখানে রাজ্য সরকার দিচ্ছে ৬৬.১০ শতাংশ, সেখানে ইউজিসি ১৯.৫ শতাংশ। রাজ্যের সাহায্য ছাড়া রেগুলার কাজ করতে পারতাম না। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কেন্দ্রের এই মনোভাব দুর্ভাগ্যজনক বলে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তবে এসবের মধ্যেও বারবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ফিরে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা। বলেন, তোমরা আমাকে ভালবাসতে পারো। নাও ভালবাসতে পারো। আমি যাদবপুরকে ভালবাসি। যা শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এটা মমতার অভিমানের কথা? নাকি আবেগকে হাতিয়ার করে যাদবপুরকে বার্তা?