বেসরকারি স্কুলের চড়া ডোনেশন নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, 'নিয়ন্ত্রণ চান', শীঘ্রই বৈঠক

কলকাতা: বেসরকারি হাসপাতালের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীর নজরে বেসরকারি স্কুল। শুক্রবার, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি স্কুলে চড়া ডোনেশন। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ এত বেশি চার্জ নেয়। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে বসব। কোথাও একটা নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। পরীক্ষা শেষ হলে বসব। বহু বেসরকারি স্কুলেই ভর্তির সময় দিতে হয় মোটা অঙ্কের অনুদান। তারওপর রয়েছে অ্যাডমিশন ফি, টিউশন ফি ও লাইব্রেরি ফি। এছাড়াও রয়েছে ইউনিফর্ম ফি, বইয়ের খরচ। অভিভাবকদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, বহু বেসরকারি স্কুলের খরচই লাগামছাড়া। স্কুলে সন্তানের জন্য সবকিছুই পাবেন, তবে তার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হবে। অবশ্যই, তা ঠিক করে দেয় বেসরকারি স্কুলগুলিই। অনেকক্ষেত্রেই সেই ফি আকাশছোঁয়া হয়ে যায় বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, বেসরকারি স্কুলগুলিতে কোন ক্লাসে কত টাকা ফি, তা স্কুল কর্তৃপক্ষই ঠিক করে। সরকার কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করে না। এ নিয়ে কোনও কমিটিও নেই। আইসিএসই কাউন্সিল বা সিএবএসই বোর্ডেরও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই। এর জেরে বেসরকারি স্কুলগুলি নিজেরাই ফি ঠিক করে। যার নাম যত বেশি, সেখানে পড়ানোর খরচও তত বেশি। বেসরকারি স্কুলের একাংশে পড়াতে এই মোটা অঙ্কের খরচই নজর কেড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তাই বেসরকারি হাসপাতালের উপর লাগাম টানতে বিল পাস করার পর এবার তাঁর নজর বেসরকারি স্কুলগুলির দিকে।






















