এক্সপ্লোর
Advertisement
লাহৌরের গণধর্ষণে ফুঁসছে পাকিস্তান, ধর্ষণে দোষীর প্রকাশ্যে ফাঁসি বা রাসায়নিক প্রয়োগে যৌনক্ষমতা নষ্ট করার পক্ষপাতী ইমরান
একটি পাক চ্য়ানেলকে তিনি বলেছেন, সবচেয়ে জঘন্য় যৌন অপরাধকে শাস্তি হওয়া উচিত জনসমক্ষে ফাঁসি, কিন্তু একইসঙ্গে এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী শরিক দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক আদানপ্রদান মার খেতে পারে বলেও অভিমত জানান। বলেন, রাসায়নিক ব্যবহার করে যৌনক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া উচিত বলে মনে করি। অনেক দেশে এটা হচ্ছে বলে খবর পড়েছি।
ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের লাহৌরের কাছে দুই শিশুসন্তানের সামনেই তাদের মাকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রবল আলোড়ন চলছে। মহিলার গাড়ির তেল ফুরিয়ে গিয়েছিল। তখনই হাইওয়ের ওপর চরম লাঞ্ছনা হয় তাঁর। পাকিস্তানের সব শহরে এর নিন্দায় ও দোষীদের কঠোর সাজার দাবিতে পথে নেমেছেন মহিলারা। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী অসন্তোষ, ক্রোধের আগুনে ঘি ঢেলেছেন লাহৌর পুলিশের প্রধান উমর শেখ, নির্যাতিতারও এক্ষেত্রে আংশিক দায় ছিল, কেন কোনও পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে মন্তব্য করায় তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন, তাঁর ইস্তফার দাবি ওঠে। সোমবার তিনি ক্ষমা চান।
গণধর্ষণে জড়িত সন্দেহে দুই ধর্ষণকারীর একজন গ্রেফতার হয়েছে। তার নাম সাফাকত আলি। এই প্রেক্ষাপটেই গণধর্ষণের মতো ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি বা রাসায়নিক প্রয়োগ করে খোজা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একটি পাক চ্য়ানেলকে তিনি বলেছেন, সবচেয়ে জঘন্য় যৌন অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত জনসমক্ষে ফাঁসি, কিন্তু একইসঙ্গে এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো মৃত্যুদণ্ড বিরোধী শরিক দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক আদানপ্রদান মার খেতে পারে বলেও অভিমত জানান। বলেন, রাসায়নিক ব্যবহার করে যৌনক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া উচিত বলে মনে করি। অনেক দেশে এটা হচ্ছে বলে খবর পড়েছি। যেভাবে খুনের স্তরের তালিকা করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডিগ্রি। এক্ষেত্রেও তেমন করা উচিত এবং ফার্স্ট ডিগ্রির (যৌন অপরাধ) ক্ষেত্রে যৌনক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, রাসায়নিক পদ্ধতিতে যৌনশক্তি নষ্ট করা হয় ওষুধ প্রয়োগ করে কারও লিবিডো অর্থাত্ যৌন ইচ্ছা কমিয়ে।
ধৃত সন্দেহভাজন সম্পর্কে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার ট্যুইট করেছেন, ওর ডিএনএ মিলে গিয়েছে,ও অপরাধ কবুলও করেছে। জনৈক পদস্থ পুলিশকর্তাও একজনের গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করে দ্বিতীয় সন্দেহভাজনের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন।
পাকিস্তানে ধর্ষণের বিচার, শাস্তিদান খুবই কঠিন। মহিলাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করা হয়। ওসামা মালিকের মতো আইন বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তের হার ২ শতাংশ! নাবালিকা ধর্ষণের ক্ষেত্রে এই হার আরও কম। ধর্ষণের অভিযোগ সরকারি ভাবে দায়ের না হওয়ার অন্যতম কারণ এটি। মালিক যৌন অপরাধের সঙ্গে সামাজিক বদনাম, কলঙ্কের প্রসঙ্গ তোলেন, এও বলেন, বহু পুলিশকর্তার মধ্যে নারীবিদ্বেষী মনোভাব কাজ করে। সেজন্যও ধর্ষণের ঘটনা সামনে কম আসে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
আইপিএল
জেলার
Advertisement