''হিন্দুর মেয়েদের ধর্মান্তকরণ করাতে পারলেই টাকা! তুঙ্গে 'ছাঙ্গুর বাবা'র কারবার, ১০৬ কোটি টাকার তহবিল''
অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের জেলায় জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর গ্যাংয়ের যুবকরা। তাদের কাজ ছিল প্রেমের ফাঁদে ফেলে হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত করা।

উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ‘ধর্মান্তকরণের গ্যাং’য়ের মাথা জামালউদ্দিন আলিয়াস ওরফে ‘ছাঙ্গুর বাবা’। তাঁর একের পর এক কীর্তিকলাপ এবার প্রকাশ্যে। চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে তিনি ধর্মান্তকরণ করাতেন বলেও ফাঁদ পেতেছিলেন ‘ছাঙ্গুর বাবা’। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে রমরমিয়ে চলছিল ‘ধর্মান্তকরণের কারবার’ । অভিযোগ এমনটাই। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের জেলায় জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর গ্যাংয়ের যুবকরা। তাদের কাজ ছিল প্রেমের ফাঁদে ফেলে হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত করা।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ছাঙ্গুর বাবা ওরফে জামালুদ্দিনের ১০৬ কোটি টাকার বিদেশী তহবিল রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS)তল্লাশিতে একটি 'লাল ডায়েরি' উদ্ধার করেছে। সেই ডায়েরিতে উল্লেখ রয়েছে, এমন অনেক রাজনীতিকের নাম, যাঁরা ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ছাঙ্গুর বাবার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছিলেন, খবর এনডিটিভি সূত্রে। এই তালিকায় রয়েছে একাধিক প্রাক্তন আধিকারিকের নামও। শুধু এটিএস নয়, এখন সেই লাল ডায়েরির উপর নজর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটেরও (ইডি)। সূত্রের মতে, লাল ডায়েরিতে কমপক্ষে ৬ জন রাজনীতিকের নাম রয়েছে। এঁরা নাকি প্রচুর পরিমাণে নগদ অর্থ নিয়েছিলেন এই মুসলিম ধর্মগুরুর কাছ থেকে। বছরের পর বছর ধরে, এই ছাঙ্গুর বাবা বলরামপুর এবং পার্শ্ববর্তী নির্বাচনী এলাকা জুড়ে রাজনৈতিক প্রচারে কোটি কোটি টাকা ঢেলে প্রতিপত্তি বাড়িয়েছেন বলে, দাবি তদন্তকারীদের। কেবল নির্বাচনে প্রার্থীদের তহবিলে টাকা ঢেলেই নয়, বরং তার অনুগামীদের ব্যাপক ভোট দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিতও করতেন এই ছাঙ্গুর বাবা। তার কীর্তিকলাপ অনেকেই জানতেন, অথচ এতদিন নির্বিঘ্নেই নিজের প্রভাব বাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। আর ছড়িয়ে গিয়েছেন ধর্মান্তকরণের জাল।
এককালে নেপাল সীমান্তে সাইকেলে চড়ে আংটি এবং তাবিজ বিক্রি করা জামালউদ্দিনের পকেটে এখন কোটি কোটি টাকার বিদেশি তহবিল। মাত্র এক দশকের মধ্যে তার এই উত্থান। কীভাবে, এই বিরাট ফাঁদ পেতে ফেলেন জামালউদ্দিন?অভিযোগ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে এই ধর্মান্তকরণের জন্য তিনি অনুদান জোগাড় করেন। সরকারি হিসাব বলছে তার নামে রয়েছে ৪০টিরও বেশি সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এই সব অ্যাকাউন্ট থেকে ১০৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। একদিকে বলরামপুরে ছিল তাঁর বিরাট সম্পত্তি, অন্যটি মুম্বইয়ের কাছে।
৫ জুলাই লখনউয়ের একটি হোটেল থেকে নাসরিন নামে এক মহিলার সঙ্গে ছাঙ্গুর বাবাকে গ্রেফতার করে এটিএস। তার বিরুদ্ধে জোর করে বিধবা, দিনমজুর এবং তফসিলি জাতি-উপজাতির লোকেদের অবৈধ ধর্মান্তকরণের অভিযোগ রয়েছে। এর পরে ইডি ৯ জুলাই থেকে আর্থিক তছরুপের তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার করা হয়েছে ছাঙ্গুর বাবার ছেলে মেহবুব এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী জামালউদ্দিন, য নবীন নামেও পরিচিত।






















