Civil Mock Drill: পিছিয়ে গেল নাগরিকদের জন্য 'মেগা মকড্রিল', পঞ্জাবে হবে ৩ জুন, অন্যান্য রাজ্যে কবে? কেনই বা স্থগিত হল?
Civil Defence Mega Mock Drill: প্রথমে নাগরিকদের জন্য ফের বেসামরিক মকড্রিল হবে শোনা গেলেও, বুধবার রাতে জারি হয় নতুন নোটিস। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মকড্রিল। নির্দিষ্ট কারণ ঘোষণা করা হয়নি।

Civil Mock Drill: সীমান্তবর্তী বিভিন্ন রাজ্য যেমন- গুজরাত, পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাগরিকদের জন্য মেগা ড্রিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে গিয়েছে। পঞ্জাবে আগামী ৩ জুন এই ড্রিল হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে এই মেগা সিভিল ডিফেন্স ড্রিলের নতুন দিন ঘোষণা করা হয়নি। তবে দ্রুতই তা জানানো হবে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন একটি সংস্থা যেখানে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টরেট জেনারেল, নাগরিক প্রতিরক্ষা বা সিভিল ডিফেন্স এবং হোমগার্ড, তারা পশ্চিম সীমান্তে থাকা বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রায় সব জেলায় 'অপারেশন শিল্ড' নামে নাগরিকদের জন্য একটি মকড্রিল করার জন্য চিঠি দিয়েছিল। এই মকড্রিলের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মনোভাব জানার জন্য মঙ্গলবার সচিবদের পাঠানো হয়েছিল চিঠি।
প্রথমে নাগরিকদের জন্য ফের বেসামরিক মকড্রিল হবে শোনা গেলেও, বুধবার রাতে জারি হয় নতুন নোটিস। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মকড্রিল। নির্দিষ্ট কারণ ঘোষণা করা হয়নি। তবে অনুমান, কোনও প্রশাসনিক কারণে নাগরিকদের জন্য এই বেসামরিক মকড্রিল সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আপাতত পঞ্জাবে নতুন করে মকড্রিলের দিন ঘোষণা হয়েছে। আগামী ৩ জুন এনডিআরএফ টিম পঞ্জাবে সিভিল মকড্রিল করবে। অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে এখনও দিন ঘোষণা করা হয়নি। হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়ের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মকড্রিলের দিন পিছিয়ে গিয়েছে। নাগরিকদের জন্য এই বেসামরিক মকড্রিলের মাধ্যমে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে তার পাঠ দেওয়া হয় দেশের মানুষকে।
এর আগেও মকড্রিলের কথা ঘোষণা করেছিল সরকার। তা হওয়ার কথা ছিল ৭ মে। তার আগের রাতেই হয়েছিল অপারেশন সিঁদুর। অবশ্য ৭ মে বেশ কিছু রাজ্যে সফলভাবে মকড্রিল করা হয়েছিল। আবারও নতুন করে মকড্রিলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। পহেলগাঁওকাণ্ডের বদলা নিতে গভীর রাতে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে নাগরিক সুরক্ষায় দেশজুড়ে মক ড্রিলের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে, বিভিন্ন জায়গায় বেজে ওঠে সাইরেন। বিমান হামলার সতর্কতা হিসাবে ব্যবহার করা হয় সাইরেন। চলে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত উদ্ধারকাজের মহড়া। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো জায়গায় হয় মক ড্রিল। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না ? তার জন্যই হয় মহড়া।






















