CJI DY Chandrachud: আর জি কর, সমলিঙ্গের বিয়ে, বৈবাহিক ধর্ষণ...মেয়াদ শেষ হচ্ছে প্রধান বিচারপতির, যে যে মামলার রায় বাকি
Supreme Court: যে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে...
নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে শীঘ্রই। আগামী ১০ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন তিনি। তবে এখনও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা হাতে রয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেই সব মামলায় রায় শোনাতে পারেন তিনি। ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে। (CJI DY Chandrachud)
Byju-কে দেউলিয়া ঘোষণার মামলা: ভারতীয় স্টার্টআপ দুনিয়ায় কার্যতই নক্ষত্রপতন ঘটেছে। রকেট গতিতে একসময় এগোচ্ছিল যে সংস্থা, আজ সেই Byju-র বাজারমূল্য ০। ঘুরপথে বিনিয়োগের টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আমেরিকার বিনিয়োগকারীরা। অগাস্ট মাসে সেই নিয়ে বিচার স্থগিত রাখা হয়েছিল। (Supreme Court)
Google বনাম স্টার্টআপস: গুগলের বিরুদ্ধে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ নিয়ে মামলা দায়ের হয়। প্লেস্টোর নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই মামলায় কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া Google-কে ১৩৩৮ কোটি টাকা জরিমানা করে। NCLAT-এ সেই নির্দেশ বহাল রাখে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় Google. সেই মামলায় নোটিস দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। কিন্তু শুনানি শুরু হয়নি এখনও।
গেমিং কোম্বানি বনাম GST: টাকার লেনদেন হয় এমন গেমিং সংস্থাগুলির উপর কেন্দ্রীয় সরকার ২৮ শতাংশ GST চাপায়। সেই নিয়ে ৪৪টি আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। নোটিস দেওয়া হলেও শুনানির দিন চূড়ান্ত হয়নি।
সমলিঙ্গের বিবাহ: ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সমলিঙ্গের বিবাহের অধিকারে সিলমোহর দিতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সংসদেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত বলে জানায়। সেই নির্দেশ পর্যালোচনার জন্য একাধিক আবেদবন জমা পড়লেও, শুনানি হয়নি।
আর জি কর ধর্ষণ মামলা: স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আর জি কর মামলায় হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠনেরও নির্দেশ দেয়, সেই মতো সুপারিশ জানাতে বলা হয়। কিন্তু তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এখনও রায় দিতে পারেনি শীর্ষ আদালত।
বৈবাহিক ধর্ষণ: অবসরের ঠিক আগে বৈবাহিক ধর্ষণের মামলায় শুনানি শুরু করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় ফেলা যায় কি না, সেই চলছিল আলাপ-আলোচনা। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ ঘোষণায় আপত্তি জানায় কেন্দ্র। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও পর্যন্ত।
জেট এয়ারওয়েজকে দেউলিয়া ঘোষণার মামলা: টেন্ডার সফল হলেও, ধারশোধ না করার অবিযোগ এখনও আটকে রেছে। বিমান সংস্থার বিমান আদৌ আকাশে উড়তে পারবে কি না, সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি মামলা: সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩০-এর আওতায় আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে গন্য হবে কি না, সিদ্ধান্ত আটকে রয়েছে। প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ শুনানি করেছে। আটকে সিদ্ধান্ত।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল মামলা: শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত অ্যালকোহলের উপর কর বসাতে চায় কেন্দ্র। এর সঙ্গে জড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের প্রশ্ন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে নয় বিচারপতির বেঞ্চ শুনানি করেছে। সিদ্ধান্ত হয়নি।
সম্পদ পুনর্বন্টন মামলা: প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন নয় বিচারপতির বেঞ্চ শুনানি করছে। কোনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি সরকার জনগণের ব্যবহারের জন্য পুনর্বন্টণ করতে পারে কি না, সেই নিয়ে মামলা।