Puri Mahaprasad: জগন্নাথদেবকে নিবেদনের আগেই মহাপ্রসাদ বিক্রি অনলাইনে? তুমুল বিতর্কে অভিযোগ দায়ের!
বর্তমানে অনলাইনে তালপাতায় মোড়া শুকনো ভোগ বিক্রি করছে। যার দাম ভোগের প্রকারভেদের উপর নির্ভর করে ১,৫০০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকার মধ্যে।

নয়া দিল্লি: পুরীর মন্দির থেকে অনলাইনে প্রসাদ বিক্রি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সরাসরি মন্দিরের রান্নাঘর থেকে নিয়েই কি অনলাইনে বেচা হচ্ছে প্রসাদ? এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন দেবতার ‘মহাপ্রসাদ’ “অনুমোদিত বিক্রির” জন্য একটি অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
বর্তমানে অনলাইনের তালপাতায় মোড়া শুকনো ভোগ বিক্রি করছে। যার দাম ভোগের প্রকারভেদের উপর নির্ভর করে ১,৫০০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকার মধ্যে। জগন্নাথ মন্দিরের প্রশাসক (নিরাপত্তা) হেমন্ত কুমার পাধি বলেছেন, শীর্ষস্থানীয় অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থাটি ভগবান জগন্নাথের ‘মহাপ্রসাদ’ বিক্রি করছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য দ্বাদশ শতাব্দীর একটি মন্দিরের ছবি ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে। তিনি এও বলেন, 'আমরা বুধবার সাইবার থানায় খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি'।
প্রসঙ্গত, 'শ্রী প্রসাদ' (Shree Prasad) নামের একটি ওয়েবসাইট মহাপ্রসাদ বিক্রির বিজ্ঞাপনে দাবি করছে, তাদেরটি সরাসরি মন্দিরের রান্নাঘর থেকে সংগ্রহ করা।
উল্লেখ্য এর আগে, শুকনো ও রান্না করা মহাপ্রসাদ অনলাইন ডিজিটাল ফুড প্ল্যাটফর্মে পেতে শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল একাধিক সংস্থা। তবে বলা হয়েছিল, মহাপ্রসাদ অত্যন্ত পবিত্র। তার মর্যাদা রক্ষা করা দরকার। বহুকাল ধরে পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকেই মহাপ্রসাদ বিলি হয়ে আসছে। অনলাইনে তা দেওয়া বা বিক্রি হলে মহাপ্রসাদের পবিত্রতার সঙ্গে আপস করা হবে।
কয়েক বছর আগে শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন কর্তৃপক্ষ অনলাইনে বেআইনি ভাবে মহাপ্রসাদ বিক্রি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন।
এর আগে বিশেষ বিশেষ দিনে ভিড় সামলানোর জন্য মহাপ্রসাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল মন্দিরের তরফে। ভক্তদের জন্য একটি পৃথক ডাইনিং জোন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেখানেই জগন্নাথ দেবের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা খাবার বা মহাপ্রসাদ পরিবেশন করা হয়।






















