Opposition on Adani: আদানি-ইস্যুতে বিরোধী মঞ্চে নেই তৃণমূল! বিজেপিকে সুবিধা? প্রশ্ন বাম-কংগ্রেসের
Budget Session: ফের আঁতাঁতের তত্ত্ব সামনে এনেছে কংগ্রেস ও বাম। যদিও এই বিতর্ক নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার উঠেছে এই অভিযোগ।

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, রুমা পাল, কলকাতা: আদানি ইস্য়ুতে বিরোধী বৈঠকে না থেকে, তৃণমূল কার্যত বিজেপির স্বার্থপূরণ করে দিচ্ছে বলে দাবি করছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। এ-নিয়ে ফের সেই আঁতাঁতের তত্ত্ব সামনে এনেছে তারা। যদিও এই বিতর্ক নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার উঠেছে এই অভিযোগ। আদানি-ইস্য়ু সংসদে ফের কাছাকাছি এনে দিয়েছে সিংহভাগ বিজেপি-বিরোধী দলকে! কখনও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করার বৈঠক, কখনও আবার সংসদের ভিতরে বিক্ষোভে সুর মেলাচ্ছে কংগ্রেস-সহ বহু বিরোধীই। কিন্তু, জল্পনা তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে।
শুক্রবারের পর সোমবার। ফের, আদানি-ইস্য়ুতে কংগ্রেসের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকল তৃণমূল। শুধুমাত্র অংশ নিল গাঁধীমূর্তির সামনে ধর্নায়। যদিও তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে এরকম প্রশ্ন নতুন নয়!
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে:
গতবছর জুলাই মাসে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে মার্গারেট আলভাকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু, সেই নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। যা আদতে এনডিএ-র প্রার্থীর জয়ের পথ মসৃণ করে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয় বলে দাবি করেছিল বিজেপি-বিরোধী দলগুলি। তারও আগে গত বছরের ডিসেম্বরে চিন-ইস্যুতে সংসদে ১২টি বিরোধী দলের ধর্নায় অংশ নেয়নি তৃণমূল। জুলাই মাসে, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভও তৃণমূলকে দেখা যায়নি। ২০২১-এর অগাস্টে, বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক ডাকেন রাহুল গাঁধী। সেখানেও অংশ নেয়নি তৃণমূল।
কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে:
দিল্লিতে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন, রাহুল গাঁধীর নেতত্বে বিরোধীরা যখন বাসে চেপে আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থন জানাতে যান, তখন সেই দলে ছিলেন না তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। যদিও আলাদাভাবে যন্তরমন্তরে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে আসেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
সোমবার আদানি-ইস্য়ুতেও, বিরোধীদের বৈঠকে অংশ না নিয়ে স্রেফ ধর্নায় গেল তৃণমূল। এদিনই অচলাবস্থা কাটাতে, সংসদ মুলতুবি হওয়ার পর, বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তখন, তৃণমূল-বিজেপির সেটিংয়ের অভিযোগ তোলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। এরপরই, তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়ান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মহলে আবার প্রশ্ন উঠছে, এরকম চললে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি-বিরোধীরা কি একজোট হতে পারবে? আর সেটা নাহলে কার লাভ? সেই অঙ্কেই আপাতত সরগরম রাজনীতি।
আরও পড়ুন: বদলাবে ভাবমূর্তি ? আদানি ট্রান্সমিশনে ৪৭৮ কোটি টাকা লাভ, ৭৩ শতাংশ মুনাফা






















