Adhir Chowdhury: লোকসভা থেকে অধীর চৌধুরীর সাসপেনশন প্রত্যাহার
Adhir Suspension Revoked: মূলত লোকসভায় ক্রমাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগেই অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তবে এবার সেই সাসপেনশন প্রত্যাহার।
নয়াদিল্লি: লোকসভা থেকে অধীর চৌধুরীর সাসপেনশন প্রত্যাহার। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল লোকসভার সচিবালয়। উল্লেখ্য, ১০ অগাস্ট মণিপুরকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সাসপেন্ড হয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। ২০ দিনের মাথায় লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হল। প্রিভিলিজ কমিটির সুপারিশের পরই অধীর চৌধুরীর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কেন সাসপেন্ড করা হয়েছিল অধীর চৌধুরীকে ?
মূলত লোকসভায় ক্রমাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগেই অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।'ক্ষমা চাইতে বলেছিলাম, কিন্তু রাজি হননি কংগ্রেস সাংসদ', অধীরকে সাসপেন্ড করে সংসদীয় মন্ত্রীকে বলেছিলেন অধ্যক্ষ। প্রসঙ্গত, মণিপুর ইস্যুতে সদ্য প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন অধীর চৌধুরী। নীরব মোদির প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
কী বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা ?
অধীর বলেন, 'টাকা লুঠ করে নীরব মোদি পালিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে ছুঁতেও পারেনি। আমি ভেবেছিলাম নীরব মোদি ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছেন। মণিপুরের ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে নীরব মোদি আমাদের মধ্যেই আছেন। নরেন্দ্র মোদিই 'নীরব' মোদি হয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে মন্তব্য করেছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। আর এবার এদিন পাল্টা কটাক্ষ আসে মোদির তরফে। তবে মোটেই কড়া ভাষায় নয়, বরং কমেডির সুরেই এদিন মোদির নিশায় পড়েছিলেন অধীর।
কটাক্ষ মোদির
নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, 'এবার অধীরবাবুকে বলতেই দিল না তাঁর দল।' মোদির সংযোজন,'কংগ্রেস অধীর চৌধুরীকে বারবার অপমান করে, হয়তো কলকাতা থেকে কোনও ফোন এসেছিল। অধীরবাবুর প্রতি আমার পূর্ণ সমবেদনা', বলে বিরোধী জোটকে কটাক্ষ নরেন্দ্র মোদির। এখানেই শেষ নয়, মোদি আরও বলেছিলেন, 'অধীর চৌধুরীকে সাইড লাইন করছে দল।' পাশাপাশি 'গুড়কে গোবর করতে পারেন অধীর', এমনও তোপ দাগতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন, জালে টান, ভেবেছিলেন 'অন্য কিছু', ৩ কেজির রুপোলি ইলিশ ধরা দিল মৎসজীবীর কাছে
সাসপেন্ড করার প্রস্তাব এনেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী
মূলত কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব এনেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি এদিন অধীর চৌধুরীর সাসপেনশন প্রস্তাব তুলে বলেছিলেন, 'সংসদে অসংসদীয় মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী। পরবর্তী তদন্তের জন্য এই বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠানো হোক। এই কমিটির রিপোর্ট জমা না দেওয়া পর্যন্ত, তাঁকে সাসপেন্ড করা হোক।' অবশেষে এদিন শেষ অবধি অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে।