Kejriwal on Corona Vaccine: পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করলে কী রাজ্যগুলিকে আলাদা যুদ্ধ লড়তে বলা হবে! ভ্যাকসিন ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা কেজরিওয়ালের
কেন্দ্রের দায়িত্ব রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। সেই কাজে যত দেরী হবে, ততই দুর্ভাগ্যবশত আরও অনেকের জীবনহানি হবে। আশঙ্কা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।
নয়াদিল্লি : ভ্যাকসিন ভোগান্তি ইস্যুতে ফের একবার কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে খোঁচা দিতে টেনে এনেছেন পাকিস্তানের ভারতকে আক্রমণ করার প্রসঙ্গ। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে রাজ্যগুলির কাঁধে ভ্যাকসিন কেনার দায় কেন্দ্র চাপিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
চাঁচাছোলা ভাষায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, 'কেন কেন্দ্র ভ্যাকসিন কিনছে না? কেন সেই দায়ভার রাজ্যগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে যখন গোটা দেশ কোভিড ১৯-র বিরুদ্ধে লড়াই করছে। পাকিস্তান যদি ভারতকে আক্রমণ করে তাহলে কী রাজ্যগুলিকে আলাদা করে যুদ্ধ করতে বলা হবে। তখন কী বলা হবে উত্তরপ্রদেশ নিজেদের ট্যাঙ্ক জোগাড় করে নিক, দিল্লি নিজেদের অস্ত্র।'
রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন দেওয়া কেন্দ্রের দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, 'রাজ্যগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কাজ করা উচিত। আমাদের টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করতে হবে। কেন্দ্রের দায়িত্ব রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। সেই কাজে যত দেরী হবে, ততই দুর্ভাগ্যবশত আরও অনেকের জীবনহানি হবে।'
দিল্লিতে ভ্যাকসিনের অভাবে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন সেই আক্রমণের সুরেই কেজরিওয়ালের সংযোজন, 'গত চারদিন ধরে দিল্লিতে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের কাজ বন্ধ রয়েছে। শুধু দিল্লিই নয় গোটা ভারতের একাধিক রাজ্যেই ভ্যাকসিনের অভাবে স্তব্ধ হয়ে রয়েছে যে কাজ। কোভিড পরিস্থিতি এখন যে জায়গায় সেখানে রোজ নতুন ভ্যাকসিনেশন সেন্টার খোলার কথা, তার বদলে আমরা টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছি। যা মোটেই ভালো বিষয় নয়।'
ভ্যাকসিনের সরবরাহ নিয়ে আগেই বেশ কয়েকবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে দিল্লি সরকার। দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আভিযোগ করা হয়েছে দাবির ধারেকাছে ভ্যাকসিন তারা কেন্দ্রের কাছ থেকে পাচ্ছেন না। এভাবে চলতে থাকলে গোটা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করতে অনেকটা লম্বা সময় লেগে যাবে।