দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়ে ২০৬, আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৬১
মৃতের সংখ্যার নিরিখে এখনও মহারাষ্ট্র শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে গুজরাত। তৃতীয় স্থানে মধ্যপ্রদেশ। চতুর্থ স্থানে দিল্লি। পঞ্চম স্থানে পঞ্জাব।
নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল। শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০৬। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। একই সময়ে নতুন করে ৮৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও অবধি ৬,৭৬১ জন করোনা আক্রান্ত। সংক্রমণ মুক্ত ৫১৬। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যার নিরিখে এখনও মহারাষ্ট্র শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে গুজরাত। তৃতীয় স্থানে মধ্যপ্রদেশ। চতুর্থ স্থানে দিল্লি। পঞ্চম স্থানে পঞ্জাব। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন কড়াভাবে কার্যকরী করতে বলছে কেন্দ্র। এরইমধ্যে মধ্যপ্রদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ওড়িশার পর পঞ্জাব-- দেশের দ্বিতীয় রাজ্য, যারা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করল। তারই মধ্যে দিল্লির মহারাজা অগ্রসেন হাসপাতালের বিরুদ্ধে, করোনা আক্রান্তদের সম্পর্কে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে। মহামারী আইনে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ। করোনা আবহে দিল্লিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। নিয়ম না মানায় ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। করোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতন দ্বিগুণ করার কথা ঘোষণা করেছে হরিয়ানা সরকার। করোনা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন অধীর চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ করেছেন, ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের যেন তাঁদের বাড়ি কিংবা অন্তত এমন জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা সরকার করে, যেখান থেকে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা যে রাজ্যের বাসিন্দা, সেখানকার সরকার তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবে।