করোনাভাইরাস: প্রতিষেধক তৈরি হতে আরও ১২-১৮ মাস, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের
গতকালই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে, তারা প্রথম করোনা প্রতিষেধক 'এমআরএনএ-১২৭৩'-এর ফেজ-১ পরীক্ষা শুরু করছে
ওয়াশিংটন: বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাস। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই অবস্থায় চিনা ভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের। গতকাল মার্ক এস্পার বলেন, নোভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। প্রসঙ্গত, গতকালই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে, তারা প্রথম করোনা প্রতিষেধক 'এমআরএনএ-১২৭৩'-এর ফেজ-১ পরীক্ষা শুরু করছে। এস্পারের আশা, মার্কিন সামরিক বাহিনীর চেয়ে দ্রুত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক বের করতেই পারে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। তিনি যোগ করেন, যদি কোনও বেসরকারি সংস্থা এই প্রতিষেধকের খোঁজ করার গবেষণা চালায়, তাহলে প্রশাসন তাদের সহায়তা করবে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে আনুমানিক ২ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন প্রায় ৮ হাজার। মঙ্গলবারই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসকে 'অদৃশ্য শত্রু' বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এক অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে গোটা বিশ্ব। আর আমরা এই যুদ্ধ জিতবই। ট্রাম্প যোগ করেন, ভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তাঁরা সর্বস্ব শক্তি দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। শুধুমাত্র মার্কিন মুলুকেই মারা গিয়েছেন শতাধিক। অন্যদিকে, করোনার প্রতিষেধক নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যেতে বিজ্ঞানীদের অনুমতি দিয়েছে চিন। পরীক্ষা চালানো হয়েছে চিনের অ্যাকাডেমি অফ মিলিটারি মেডিক্যাল সায়েন্স এবং হংকংয়ের বায়োটেক সংস্থা ক্যানসিনো বায়োলজিক্স। খবরে প্রকাশ, প্রতিষেধকটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চেন ওয়েই-এর নেতৃত্বাধীন টিম, যিনি ওই সংস্থার অধ্যাপকও। এরমধ্যেই, চিনের উহানে হওয়া নতুন একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক বিবর্তনের মাধ্য়মেই এসেছে। এটি গবেষণাগারে তৈরি হওয়া কোনও ভাইরাস নয়।