Court on Men's Rights: ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে- প্রমাণ পেতেই ক্ষুব্ধ বিচারক! ভরা আদালতে এ কী বললেন?
Viral News: মিথ্যে অভিযোগ করায় অভিযোগকারীনির বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। কোন মামলায় আদালতের এই নির্দেশ?
![Court on Men's Rights: ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে- প্রমাণ পেতেই ক্ষুব্ধ বিচারক! ভরা আদালতে এ কী বললেন? Court order delhi police to take legal action against women false rape complaint states that men have equal rights viral news Court on Men's Rights: ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে- প্রমাণ পেতেই ক্ষুব্ধ বিচারক! ভরা আদালতে এ কী বললেন?](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/07/28/acbb0e52a28883b3e283d98fb4143e6c1722185454137385_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশকে (Delhi Police) আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। আদালতের (court order) পর্যবেক্ষণ, মহিলাদের সুরক্ষার জন্য যে বিশেষ আইনি ব্যবস্থা রয়েছে তা কখনও ব্যক্তিগত রাগ মেটানোর 'অস্ত্র' হতে পারে না।
অ্যাডিশনাল সেশন জাজ শেফালি বারনালা ট্যান্ডনের পর্যবেক্ষণ এমন মিথ্যে অভিযোগ অভিযুক্তের জীবন, নাম এবং সামাজিক অবস্থান ধ্বংস করেছে। এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্তের জামিন শুনানির সময়ে এমন পর্যবেক্ষণ করেন বিচারক।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ জুলাই ওই ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেরদিন অভিযোগকারী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দেন যে তিনি নিজেই অভিযুক্তের সঙ্গে হোটেলে গিয়েছিলেন। যেখানে তাঁরা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর কোনওকারণে অভিযুক্তের সঙ্গে ওই মহিলার ঝামেলা হয়। তা থেকেই উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে ফোন করেন তিনি। তারপর পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন তিনি। ওই মহিলা এই একই দাবি করেছেন আদালতের কাছেও- ২৫ জুলাই ওই অভিযুক্তের জামিন দেয় আদালত।
এনডিটিভির প্রতিবেদন সূত্রের খবর, আদালত জানিয়েছে, 'সংবিধান অনুযায়ী আমাদের দেশের পুরুষদেরও সমান অধিকার এবং আইনের রক্ষাকবচ রয়েছে। যদিও মহিলাদের কিছু সুবিধা এবং রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সুবিধা এবং মহিলাদের রক্ষা করার আইন কখনও কারও উপর ব্য়ক্তিগত রাগ মেটানোর অস্ত্র করা উচিত নয়- যা এখন সমাজে আকছার হচ্ছে।' এর সঙ্গেই আদালতের সংযোজন, 'আদালত ইদানিং দেখছে অন্য অনেক কারণে আকছার ধর্ষণের অভিযোগ হচ্ছে। এটাও তেমনই একটা ঘটনা। মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ একজন ব্যক্তির জীবন নষ্ট করে দেয়, তাঁর সামাজিক সম্মান, তাঁর পরিবারের সম্মানও নষ্ট করে দেয়।'
আদালত এও জানায়, ধর্ষণ অত্যন্ত জঘন্য এক অপরাধ। এই যন্ত্রণা নিগৃহীতার দেহের সঙ্গে সঙ্গেই মন ও আত্মাকে আঘাত করে। কিন্তু এখন এই ধর্ষণ বিরোধী আইন অনেকক্ষেত্রে ভুলভাবে ব্যবহার করেছে। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, 'সমাজের দুই স্তম্ভ পুরুষ ও নারী। সবদিক থেকেই পুরুষ ও নারী সমান। শুধুমাত্র লিঙ্গ পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে একজনের অপরজনের উপর শক্তিপ্রয়োগ করা উচিত নয়।' এই মামলায় শুনানির পরে বিচারক পুলিশকে মিথ্যে অভিযোগ করা ওই মহিলার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক-তথ্য হাতিয়ে সাফ ১ কোটি টাকা! পুলিশের জালে MBA পাশ যুবক
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)