COVID-19 Cases: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা, ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্য পরিষেবা, রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের কাছে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সমস্ত জেলাগুলিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ুক বা না বাড়ুক, সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে সমস্ত জেলাগুলিতেই সুষ্পষ্ট সময়সীমা ও দায়িত্বের সঙ্গে জেলা কার্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
নয়াদিল্লি: দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। এরইমধ্যে সরকার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দেশে ফের করোনা সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়তে পারে স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর। এর ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়তে পারে। কেন্দ্র রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে। তা না করা হলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রভাব ফেলতে পারে। দেশের রাজধানী দিল্লিতে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮,০৩২। ফলে দিল্লি দেশের প্রথম ১০ করোনা প্রভাবিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তালিকায় উঠে এসেছে। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যের আটটি জেলার করোনা পরিস্থিতি খারাপ। সেইসঙ্গে কর্ণাটকের একটি জেলা ব্যাঙ্গালোর শহরে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ড. ভি কে পল বলেছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। এটা একটা উদ্বেগের বিষয়। যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তার থেকে বোঝাই যায় যে, ভাইরাস এখনও খুবই সক্রিয়। ক্রমবর্দ্ধমান আক্রান্তের সংখ্যা সংক্রমণের ছড়ানো রুখতে গৃহীত পদক্ষেপের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যখন ভাবা হচ্ছে যে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে, ঠিক তখনই তা ফিরে আসছে। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেকন থাকতে হবে।
ড. ভিকে পল আরও বলেছেন, দেশ এখন গুরুতর ও সঙ্গিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। সমগ্র দেশই সম্ভাব্য ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের কাছে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সমস্ত জেলাগুলিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ুক বা না বাড়ুক, সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে সমস্ত জেলাগুলিতেই সুষ্পষ্ট সময়সীমা ও দায়িত্বের সঙ্গে জেলা কার্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
ভূষণ বলেছেন, আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি খুবই চিন্তার বিষয় এবং তা স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ভূষণ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, করোনা সংক্রমণের প্রসার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কেন্দ্র রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আরটি-পিসিআর টেস্টের অনুপাত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। তিনি বলেছেন, চলতি পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হল, পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসা।
রাজ্যগুলিকে নজরদারি সংক্রান্ত কার্যকলাপের ভিত্তিতে সংক্রমণের ঘটনার ম্যাপিংয়ের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে কোভিড-১৯ বিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় পুলিশি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।