Centre on Covid19: পরিচয়পত্রের তালিকায় UDID কার্ড নথিভুক্ত করতে হবে, করোনা টিকাকরণে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
করোনার টিকাকরণে নতুন সিদ্ধান্ত। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য পরিচয়পত্রের তালিকায় রাখতে হবে ইউনিক ডিসএবিলিটি আইডেনটিফিকেশন (UDID) কার্ড। সোমবার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নিউ দিল্লি : করোনার টিকাকরণে নতুন সিদ্ধান্ত। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য পরিচয়পত্রের তালিকায় রাখতে হবে ইউনিক ডিসএবিলিটি আইডেনটিফিকেশন (UDID) কার্ড। সোমবার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষভাবে সক্ষমদের সুবিধার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক চিঠিতে লিখেছে, CoWIN 2.0-এ রেজিস্টারের সময় UDID কার্ড ফটো আইডি হিসাবে যোগ করুক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি। চিঠিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষমদের UDID কার্ড দেয় ডিপার্টমেন্ট অফ এমপাওয়ারমেন্ট অফ পার্সন্স উইথ ডিসএবিলিটিজ, মিনিস্ট্রি অফ সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট।
এই পরিচয়পত্রে সব কিছুর উল্লেখ আছে। যেমন- নাম, জন্ম সাল, লিঙ্গ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি। এই তথ্যগুলি কোভিড টিকাকরণের পরিচয়পত্রে থাকলে যথেষ্ট। এই সংক্রান্ত বিধি খুব শীঘ্রই CoWIN-এ পাওয়া যাবে।
এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বলা হয়েছে, করোনার টিকাকরণের সম্ভাব্য পরিচয়পত্র হিসাবে UDID কার্ডের ব্যবহারের বিষয়টি বড় আকারে প্রচার করতে।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য উপভোক্তাদের পরিচয়পত্র গ্রাহ্যের তালিকায় রয়েছে সাতটি পরিচয়পত্র। গত ২ মার্চ কোউইন ২.০ গাইডলাইনে তার উল্লেখ করা হয়। এই সিদ্ধান্তের সাথে সাথে, কেন্দ্রীয় সরকার টিকাকরণ কর্মসূচিকে আরও কার্যকর করে তুলতে চাইছে। এদিকে করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই অনেক রাজ্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণির উপভোক্তাদের সুবিধার্থে করোনা টিকাকরণের জন্য এই কোউইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রযুক্তিগত ভিত্তির উপরেই করোনার টিকাকরণ ও তার বিতরণ প্রক্রিয়া দাঁড়িয়ে আছে।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ভারতে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে। টিকার তালিকায় রয়েছে স্পুটনিক ভিও। এই পরিস্থিতিতে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন হল আমাদের সুরক্ষা কবচ। সারা বিশ্বে যতটা পরিমাণ ভ্যাকসিন দরকার, তুলনায় অনেক কম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা। আগে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আসতে বহু সময় লেগে যেত। আগে পোলিও, স্মল পক্স, হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন পেতে বহু দেরি হয়েছে। ভারতে আগে ভ্যাকসিনেশন হত মাত্র ৬০ শতাংশের। ১০০ শতাংশ টিকাকরণে ৪০ বছর লেগে যায়।