Covid 19 Vaccine : রাতারাতি ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়, তবে কয়েক মাসের মধ্যেই ১১ কোটির জোগান : সিরাম
ভ্যাকসিন নিয়ে দেশজুড়ে নানা প্রশ্নের মধ্যেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সংস্থার তরফে CEO আদার পুনাওয়ালা এক বিবৃতি জারি করেছেন।
নয়া দিল্লি : ভ্যাকসিন নিয়ে দেশজুড়ে নানা প্রশ্নের মধ্যেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সংস্থার তরফে CEO আদার পুনাওয়ালা এক বিবৃতি জারি করেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিন তৈরি একটি বিশেষ প্রক্রিয়া। রাতারাতি ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশজুড়ে আরও ১১ কোটি ভ্যাকসিনের জোগান দেওয়া হবে।
গত ২৪ ঘণ্টাতেও দেশে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪১৭ জনের। এই পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বাড়ছে। অথচ অনেক জায়গাতেই ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। সূত্রের খবর, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন যতটা মজুত আছে, তাতে আর দু’দিন চলবে।
এদিকে সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে সিরাম ইন্সটিটিউটের তরফে CEO আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিনের চাহিদার কারণে তিনি ভারতে হুমকি পাচ্ছিলেন। এজন্য চাপের মুখে সপরিবারে তিনি লন্ডনে পাড়ি দেন। যদিও কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের তীব্র চাহিদা নিয়ে পুনাওয়ালা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, "প্রথমত, ভ্যাকসিন তৈরি একটি বিশেষ প্রক্রিয়া। কাজেই রাতারাতি এর উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি আমাদের বুঝতে হবে যে, ভারতে প্রচুর জনসংখ্যা। এবং সব প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য ডোজ তৈরি করা সহজ কাজ নয়। এমনকী খবু উন্নত দেশ ও সংস্থাগুলিও কম জনসংখ্যায় ভ্যাকসিন তৈরি করতে সমস্যায় পড়ছে।
দ্বিতীয়ত, গত বছর এপ্রিল মাস থেকে আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি। আমরা সবরকম সাহায্য পেয়েছি। তা সে, বিজ্ঞানসম্মত হোক, রেগুলেটরি বা অর্থনৈতিক।
আজ পর্যন্ত আমরা ২৬ কোটির বেশি ডোজ তৈরির অর্ডার পেয়েছি। যার মধ্যে আমরা ১৫ কোটির বেশি ডোজ সরবরাহ করে ফেলেছি। আমরা সরকারের কাছ থেকে আরও ১১ কোটি ডোজের জন্য আগাম একশো শতাংশ অর্থাৎ ১৭৩২.৫০ কোটি টাকা পেয়েও গিয়েছি। দ্বিতীয় ধাপে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলিকে ওই ১১ কোটি ডোজের জোগান দেওয়া হবে।
সর্বোপরি আমরা জানি যে প্রত্যেকেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন চান। আমরাও সেই চেষ্টা করছি। আমরা আরও কঠোর পরিশ্রম করব যাতে করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে শক্তিশালী করা যায়।"