এক্সপ্লোর
Advertisement
ভারতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দাম পড়বে প্রতি ডোজ ২২৫ টাকা, জানাল সিরাম ইনস্টিটিউট
সিরাম ইনস্টিটিউট সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তারা গ্যাভি, দি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স ও দি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এক নতুন সুদূরপ্রসারী চুক্তি-বোঝাপড়া করেছে, যার উদ্দেশ্য দ্রুত বেশি সংখ্যায় ভারত ও কম আয়ের দেশগুলির জন্য সম্ভাব্য কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন উত্পাদন করা। এর ১০০ মিলিয়ন ডোজ পর্যন্ত তৈরি ও সরবরাহ করবে তারা।
নয়াদিল্লি: অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ প্রতিরোধী ভ্যাকসিন ঘিরে বিপুল প্রত্যাশার পারদ তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় তা সাফল্য পেয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। ভারতে এই ভ্যাকসিনের পোশাকী নাম কোভিশিল্ড (ChAdOx1 nCoV-19 )। ভারতে এটি তৈরি করছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটট অব ইন্ডিয়া (সিআইআই)। সংখ্য়ার মাপকাঠিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারত সহ নিম্ন ও মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে এর প্রতিটি ডোজের দাম পড়বে প্রায় ২২৫ টাকা বা সর্বোচ্চ তিন মার্কিন ডলার।
I would like to thank @BillGates, @gatesfoundation, @GaviSeth for this key partnership of risk sharing and manufacturing of a 100 million doses, which will also ensure equitable access at an affordable price to many countries around the world. https://t.co/NDmpo23Ay8 pic.twitter.com/jNaNh6xUPy
— Adar Poonawalla (@adarpoonawalla) August 7, 2020
সিরাম ইনস্টিটিউট সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তারা গ্যাভি, দি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স ও দি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এক নতুন সুদূরপ্রসারী চুক্তি-বোঝাপড়া করেছে, যার উদ্দেশ্য দ্রুত বেশি সংখ্যায় ভারত ও কম আয়ের দেশগুলির জন্য সম্ভাব্য কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন উত্পাদন করা। এর ১০০ মিলিয়ন ডোজ পর্যন্ত তৈরি ও সরবরাহ করবে তারা। সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা ঝুঁকি ভাগ করে নেওয়া ও কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির ব্যাপারে গাঁটছড়া বাঁধার জন্য় বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্যাভিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। এই বোঝাপড়ার ফলে অনেক দেশেই সমান সংখ্যায় ভ্য়াকসিন মিলবে, দাম থাকবে সাধ্যের মধ্যে।
সম্প্রতি ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) সিরাম ইনস্টিটিউটকে ভারতে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে। অক্সফোর্ড ও অ্যাসট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনটির ব্রিটেন, ব্রাজিলে এখন সর্বশেষ অর্থাত্ তৃতীয় ধাপ ও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছে।
নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যেকটি ভ্যাকসিনের ওপর নানা পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশার আলো দেখিয়েছে ChAdOx1 nCoV-19। দি ল্যান্সেট ম্যাগাজিন লিখেছে, এটি মানব শরীরে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করে প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে, এতে জোরালো প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, সুরক্ষাজনিত কোনও বিপদ হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)নিশ্চিত করেছে, নোভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বীকৃতি পাওয়ার দৌড়ে নামা ৬টি ভ্যাকসিন তৃতীয় দফার ট্রায়ালে ঢুকেছে। অক্সফোর্ড অ্যাসট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ছাড়া বাকিগুলি হল মডার্না/ এনআইএইড, বায়োএনটেক /ফোসান ফার্মা /পিফাইজার, সিনোভ্যাক, উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকাল প্রোডাক্টস/ সিনোফার্ম ও বেজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকাল প্রোডাক্টস/ সিনোফার্ম।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
আন্তর্জাতিক
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement