(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Corona Vaccine Update: কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কোভিশিল্ডেই তৈরি হচ্ছে বেশি অ্যান্টবডি: গবেষণা
দুটি ডোজই রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। তবে দেখা গিয়েছে, অ্যান্টিবডি বেশি তৈরি হচ্ছে কোভিশিল্ডেই।
নয়াদিল্লি: কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কোভিশিল্ডেই তৈরি হয় বেশি অ্যান্টিবডি। গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। একদল গবেষক দাবি করেছেন।
প্রাথমিকভাবে এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা, দুই দলে ভাগ করে দেওয়া হয় টিকা। তাঁদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির ভিত্তিতে এই পরীক্ষা করা হয়।
এঁদের মধ্যে একদলকে কোভিশিল্ড, অন্যদলকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষেত্রে তারতম্য দেখা গিয়েছে। তবে গবেষণাটি এখনও প্রাথমিক স্তরে। মেলেনি রিভিউ-ও।
দুটি ডোজই রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। তবে দেখা গিয়েছে, অ্যান্টিবডি বেশি তৈরি হচ্ছে কোভিশিল্ডেই। গবেষণা বলছে, প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই কোভিশিল্ডের এফিকেসি দাড়াচ্ছে ৭০ শতাংশ। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে বেশ কিছুবার পরীক্ষা করার পর জানা গিয়েছে, এই টিকার এফিকেসি ৮১ শতাংশ।
জানা গিয়েছে, এই গবেষণায় ৫১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশগ্রহণ করেছিলেন। যার মধ্যে ৯৫ শতাংশের শরীরে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৪২৫ জন কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছিলেন এবং বাকিদের কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছিল।
গবেষকদের দাবি, দেখা গিয়েছে কোভিশিল্ডে শরীরে তৈরি হচ্ছে ৯৮.১ শতাংশ অ্যান্টিবডি। অন্যদিকে কোভ্যাক্সিনে পাওয়া যাচ্ছে ৮০ শতাংশ অ্যান্টিবডি।
গবেষণা অনুযায়ী, দুই প্রতিষেধকের ক্ষেত্রেই রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে। তবে দুই দলের মধ্যে পরীক্ষা-নিরিক্ষায় অ্যান্টি-স্পাইক অ্যান্টিবডি তৈরির তারতম্য দেখা হয়েছে এই গবেষণায়। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এই পরীক্ষা অনুযায়ী, দু-টি ডোজ নেওয়ার পর ২৭ জন কোভিড আক্রান্ত হন।
তবে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা কোভিড সংক্রমিত হলেও, তাঁদের মধ্যে কারও কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে ৫.৫ শতাংশ এবং কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ২.২ শতাংশ টিকা নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, যাঁরা ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার সংখ্যা কম। এর কম বয়সীদের মধ্যে অ্যান্টিবডি দ্রুত তৈরি হচ্ছে বলেই দাবি গবেষকদের।