এক্সপ্লোর
Advertisement
বাংলায় বিজেপিকেই মূল শত্রু ধরে এগতে হবে, বিহারে সাফল্যের মধ্যেই এ রাজ্যের বাম নেতৃত্বকে বার্তা লিবারেশন সাধারণ সম্পাদকের
বছর ঘুরলেই বাংলায় হাইভোল্টেজ বিধানসভার ভোট। উনিশের লোকসভা ভোটে ভাল ফল করার পর এবার ২১-এর ভোটকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। পাল্টা ক্ষমতা ধরে রাখতে কোমর বেধে নেমেছে তৃণমূলও। অন্যদিকে, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরোধিতায় জোট বাধতে চলেছে বাম-কংগ্রেস জোট। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হল, আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপি-তৃণমূল উভয়কেই সমান শত্রু ধরে এগলে কি আদৌ সুবিধা হবে বাম-কংগ্রেসের? না কি দীপঙ্করের সঙ্গে সহমত হবে তারা?
কলকাতা: বিহারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর নরেন্দ্র মোদি-নীতীশ কুমারের জোটের কাছে অল্পের জন্য হেরে গেছে লালুপ্রসাদ যাদব-পুত্র তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। তবে চমকে দেওয়ার মতো ফল করেছে বামেরা। ২৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ১৬টিতেই জয় ছিনিয়ে এনেছে তারা। ১৯টি আসনে লড়ে ১২টিতেই জয়ী হয়েছে সিপিআইএমএল (লিবারেশন)। সিপিআই ও সিপিএম পেয়েছে ২টি করে আসন। এই পরিস্থিতিতে এবার বিহারের শীর্ষ বাম নেতার মুখে বাংলার বিধানসভা ভোট নিয়ে শোনা গেল তাৎপির্যপূর্ণ মন্তব্য। তৃণমূল নয়, বামেদের বঙ্গে এই মুহূর্তে বিজেপিকে প্রধান প্রতিপক্ষ ধরে নিয়ে এগনো উচিত বলে বাংলার বাম নেতৃত্বের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিলেন লিবারেশন গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, আমার যত দূর মনে হয় বাংলায় বিহার ভোটে প্রভাব পড়বে। বামেদের নির্দিষ্ট করে নিতে হবে কাকে নিশানা করবে? তৃণমূল কোনও ফ্যাক্টর নয়, প্রধান বিপক্ষ হওয়া উচিত বিজেপি। তৃণমূল তো যখন তখন চলে যেতেই পারে। সুতরাং, তৃণমূলকে রুখতে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বাংলায় তৃণমূলের সমস্যা আছে। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধেই লড়াই করা উচিত বেঙ্গল বামেদের।
বছর ঘুরলেই বাংলায় হাইভোল্টেজ বিধানসভার ভোট। উনিশের লোকসভা ভোটে ভাল ফল করার পর এবার ২১-এর ভোটকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। পাল্টা ক্ষমতা ধরে রাখতে কোমর বেধে নেমেছে তৃণমূলও। অন্যদিকে, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরোধিতায় জোট বাধতে চলেছে বাম-কংগ্রেস জোট। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হল, আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপি-তৃণমূল উভয়কেই সমান শত্রু ধরে এগলে কি আদৌ সুবিধা হবে বাম-কংগ্রেসের? না কি দীপঙ্করের সঙ্গে সহমত হবে তারা? সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, বাংলাতেও মিমের একই প্রভাব পড়বে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। নির্বাচন এখনও কয়েক মাস বাকি।
গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২ থেকে এক্কেবারে ১৮টি আসনে উঠে আসে বিজেপি! তখন থেকে একটাই প্রশ্ন জোরালো, তা হল, বিজেপির চমকপ্রদ ফলের নেপথ্যে কি বামেদের ভোট গেরুয়া শিবিরে চলে যাওয়া অন্যতম কারণ? সূত্রের দাবি, সম্প্রতি বাংলা সফরে এসে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে অমিত শাহ বলেন, গত লোকসভা ভোটে সিপিএমের অনেকে বিজেপিতে যোগ না দিয়েও, আমাদের সাহায্য করেন। এবার তাদের দলে টানার চেষ্টা করতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দলও চাইছে, বিজেপিকে রুখতে বঙ্গের বাম নেতৃত্বের তৃণমূলের কট্টর বিরোধিতা বন্ধ করা উচিত। দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বিহারের বাম নেতা ঠিকই বলেছেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এখানে বামেরা বিজেপিকে যতটা আক্রমণ করছে তৃণমূলকেও আক্রমণ করছে। দুটো ফ্রন্টের লড়াই হয় না। ইতিহাস তো তাই বলে। ইনডাইরেক্টলি সমর্থন করতে হবে। জোট নয়। বামেরা শক্তিশালী হলে ভাল। যদিও, বিহারে ক্ষমতা ধরে রাখার পর বাংলাতে কুর্সি দখলে উদ্যত বিজেপি, এসব সম্ভাব্য সমীকরণকে গুরুত্ব দিতে নারাজ, স্পষ্ট করে দেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
খুঁটিনাটি
Advertisement