Cyclone Biparjoy Update : প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই, প্রবল 'বিপর্যয়ের' মধ্যেই মা হলেন ৭০৯ জন !
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই সুস্থভাবে সন্তান জন্ম দিয়েছেন ৭০৯ জন।
গান্ধীনগর : বড় ঝড় বয়ে গিয়েছে। বিরাট ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিপর্যয় লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে গুজরাতের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলীয় এলাকা। বেশ কিছু গ্রামে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। প্রচুর গাছ গিয়েছে পড়ে। ভেঙে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। কিন্তু আগাম তৎপরতায় বিপদপ্রবণ এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়ায় প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে।
এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর ঘূর্ণিঝড়ের ( cyclone ‘Biparjoy ) ধ্বংসলীলা থেকে বেঁচে গিয়েছেন ৭০৯ জন গর্ভবতী মহিলা। গুজরাত প্রশাসন ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়েই বেশ কিছু জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় বসবাসকারীদের। এরই মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন অন্তঃসত্ত্বা। তাঁরা এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই সুস্থভাবে সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলে খবর।
প্রথম থেকেই গুজরাত প্রশাসন ( state government ) ‘Zero Casualty’ লক্ষ নিয়ে এগিয়েছিল। অর্থাৎ ঝড় যেন কারও প্রাণহানির কারণ না হয়, সেদিকে ছিল প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি। সেই উদ্দেশেই বিপদজ্জনক এলাকা থেকে তড়িঘড়ি সরানো হয় গর্ভবতী মহিলাদের ( pregnant women )। ঠিক সময় তা করাও সম্ভব হয়েছে।
প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে হবু মায়েরা খুবই চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু তাঁরা ভয়কে জয়কে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন।
বিপর্যয়ের উৎপত্তির সময় থেকেই কোমর বেঁধে কাজে লাগে গুজরাত প্রশাসন। ঠিক সময়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গর্ভবতী মহিলাদের। মোট ১১৫২ জন গর্ভবতী মহিলাকে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলি থেকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। নজর রাখা হয়েছে হবু মা ও গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্যের দিকে।
প্রশাসনের তরফে ‘108’ অ্যাম্বুলেন্স ছিল সক্রিয়, বিশেষত সৈকত অঞ্চলগুলিতে। আমরেলি এলাকায় ( Amreli district ) ‘108’ অ্যাম্বুলেন্সে ২ টি বাচ্চার জন্ম হয়।
বৃহস্পতিবার গুজরাটে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোথাও কোথাও রাস্তা বসে যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ উপড়ে মারা যান অন্তত দুজন । আহত হয়েছএন ২০ র বেশি মানুষ । সমুদ্রের উপর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণই শক্তি সঞ্চয় করতে পারে ঘূর্ণিঝড়। তারপরেই ক্রমশ অগ্রগতি হয় ঝড়ের। শেষ পর্যন্ত উপকূলের কাছে এসেছে আছড়ে পড়ে। ল্যান্ডফলের মুহূর্তে তীব্র শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়লেও, ভূমিভাগে ঢোকার পর থেকেই ক্রমশ শক্তি হারাতে থাকে ঘূর্ণিঝড়। তারপর একসময় শক্তি কমে পরিণত হয় অতি গভীর নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে।