(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
PM Modi on Yaas Cyclone : ইয়াস-বিধ্বস্ত এলাকাগুলিকে দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনুন, নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আজ এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ইয়াসে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নেন প্রধানমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি।
নিউ দিল্লি : ইয়াস-বিধ্বস্ত এলাকায় দ্রুত স্বাভাবিক জীবন পুনরুদ্ধার করুন। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এজেন্সিকে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ইয়াসে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নেন প্রধানমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই ঘূর্ণিঝড় "গভীর নিম্নচাপে" পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন এজেন্সি কীরকম সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে তার খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। আধিকারিকরা সার্বিক প্রস্তুতি, ক্ষয়ক্ষতি এবং আনুষঙ্গিক বিষয় জানান প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁকে আরও জানানো হয়, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ১০৬টি দল মোতায়েন করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ছিল যথাক্রমে ৪৬টি করে দল। NDRF-এর এই দলগুলি ১০০০-এর বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে, ২ হাজার ৫০০-র বেশি গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি যা পড়ে গিয়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেগুলিকে সরিয়ে দিয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগায় সেনাবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীও। এর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বায়ুসেনাকে সতর্ক রাখা হয়েছিল।
যদিও রাজ্যগুলি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করছে, তবে প্রাথমিকভাবে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে সেই অনুযায়ী বলতে গেলে, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন এজেন্সি সময়ে মানুষকে নিরাপদে দূরত্বে সরিয়া আনায় প্রাণহানির ঘটনা কমানো গিয়েছে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া অধিকাংশ দুর্গত এলাকাতেই ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ ও টেলিকম পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, মন্ত্রিসভার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিদ্যুৎ সচিব, টেলিকম সচিব ও IMD-র DG ও অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপের আকার নেবে। IMD-র শেষ বুলেটিন ঝড়ের গতি অনেকটাই কমে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। গত ছয় ঘণ্টা ধরে এটি উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতিবেগে প্রবাহিত হয়েছে।