Defence Acquitision Council: আকাশে চক্কর কাটার পর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মোদি, আরও ৯৭টি Tejas কেনায় সায়
Tejas Fighter Jet: দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত ৯৭টি Tejas Mark 1-A যুদ্ধবিমান কেনা হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার ব্যবহারের জন্য।
নয়াদিল্লি: সেনার শক্তিবৃদ্ধি করার পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের পথে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র।অতিরিক্ত ৯৭টি Tejas যুদ্ধবিমান এবং ১৫৬টি হামলাকারী Prachand হেলিকপ্টার কেনায় ছাড়পত্র দিল ডিফেন্স অ্যাক্যুইজিশন কাউন্সিল। তেজস যুদ্ধবিমান এবং প্রচণ্ড হেলিকপ্টার, দু’টিই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার কিনতে খরচ পড়বে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা। (Defence Acquitision Council)
দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত ৯৭টি Tejas Mark 1-A যুদ্ধবিমান কেনা হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার ব্যবহারের জন্য। ১৫৬টি Prachand হেলিকপ্টার নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে ভারতীয় বায়ুসেনা এবং সেনা। এ ছাড়াও, Anti-Ship ক্ষেপণাস্ত্র, Towed Gun প্রযুক্তি কিনতেও ২.২৩ লক্ষ কোটি টাকা খরচে অনুমোদন মিলেছে। (Tejas Fighter Jet)
মোট খরচের মধ্যে ২.২ লক্ষ কোটি টাকা অর্থাৎ ৯৮ শতাংশ খরচই দেশীয় সংস্থার থেকে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। এতে সামরিক ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার পথ সুগম হবে যেমন, দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানও তৈরি হবে বলে দিল্লির একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Top Arm Exporting Countries: গরিব দেশের হাতেও অত্যাধুনিক অস্ত্র, জোগান দিচ্ছে কে?
হালকা ওজনের যুদ্ধবিমান Tejas, দেশীয় প্রযুক্তিতেই তৈরি। দেশের প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান এটি। হিন্দুস্তান এ্যরোনটিকস লিমিটেড সেটি তৈরি করেছে। সম্প্রতি তেজসে চেপে আকাশে চক্কর কাটেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের প্রশংসা করেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই যুদ্ধবিমান হাতে পায় ভারতীয় বায়ুসেনা। গত বছর Prachand হেলিকপ্টার বায়ুসেনা এবং সেনার হাতে ওঠে।
প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে, এত বড় বরাত এর আগে পায়নি দেশীয় সংস্থাগুলি। সবে অনুমোদন মিলেছে যদিও। উৎপাদনকারীদের সঙ্গে Acceptanc of Necessity চুক্তি এবং দাম নিয়ে দরাদরি বাকি রয়েছে এখনও, তাতে বেশ কিছুটা সময়ও লাগবে। যদিও কেন্দ্রের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিদেশ থেকে কিনতে গেলে আরও সময় লাগত। তার থেকে সময়েই চুক্তি হয়ে যাবে।
বরাত নিয়ে দেশীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে দরাদরি শেষ হলে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটি চুক্তির বাস্তবায়নে ছাড়পত্র দেবে। তার পর বরাত দেওয়া যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ধাপে ধাপে, আগামী ১০ বছরে হাতে উঠবে। যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার কেনায় অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি, Sukhoi Su-30 MKI যুদ্ধবিমানটির আধুনিকীকরণের অনুমোদনও মিলেছে, যার আওতায় আজীবন রক্ষণাবেক্ষণ হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ নেতৃত্বাধীন পরিষদ এতে অনুমোদন দিয়েছে।
ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ২৫৬টি Sukhoi Su-30টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রেডার, এভিয়নিস্কস এবং সাবসিস্টেমও থাকবে তাতে। গোড়ায় ৮৪টি Sukhoi Su-30 যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণ হবে। তার পর ধাপে ধাপে হবে বাকিগুলির।