Delhi Blast: জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটা পোস্টেই ভয়ঙ্কর চাপে পড়ে যায় উমর? পালাতে গিয়েই বিস্ফোরণ?
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সেদিন তাদের X- হ্যান্ডেলে পোস্ট করে, “You can run, but you can’t hide।”

যে হাত স্টেথোস্কোপ নিয়ে মানুষের চিকিৎসা করতে পারে, সেই হাত মানুষ মারতেও মারে! দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে এরকমই ভয়ঙ্কর জঙ্গি মডিউলের কথা সামনে আসছে। এখনও পর্যন্ত মূল চক্রী হিসেবে যার নাম উঠে আসছে, সেই উমর একজন চিকিৎসক। সে কি আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল? পারিপার্শ্বিক ঘটনা ও তথ্য প্রমাণ কিন্তু তেমনটা বলছে না। দিল্লির লালকেল্লায় বিস্ফোরণ নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি পোস্ট এখন ভাইরাল। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সন্দেহ, একে সঙ্গীদের পরপর গ্রেফতার হয়ে যাওয়া আর তারপর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেই ঘাবড়ে যায় উমর। আর তারপরই...
লালকেল্লার ঘটনার অনেক আগে থেকেই তৎপর ছিল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। সন্ত্রাসবাদের কোমর ভেঙে দেওয়ার জন্য একের পর এক অভিযান চলছিল। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্তরা। উমরের চোখে এই বার্তা পড়তেই যাবতীয় বিস্ফোরক নিয়ে পালানোচ চেষ্টাই করেছিল সে সম্ভবত।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সেদিন তাদের X- হ্যান্ডেলে পোস্ট করে, “You can run, but you can’t hide।”
'You can run but you can't hide !'
— J&K Police (@JmuKmrPolice) November 10, 2025
এই পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরেই লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়। জানা গেছে, গাড়িটির স্টিয়ারিং ডক্টর উমরের হাতেই ছিল। সে ফরিদাবাদে জৈশ-ই-মোহাম্মদ (JeM)-এর নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত ছিল। গোয়েন্দাদের ধারণা, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের গ্রেফতারি এড়াতেই উমর দিল্লিতে এসেছিল।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ ...
তদন্তে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য বলছে, বিস্ফোরণটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। বরং আতঙ্ক, তাড়াহুড়ো বা দুর্ঘটনাবশতই ঘটে। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, উমর লালকেল্লার কাছে একটি পার্কিং এলাকায় লুকিয়ে ছিল। X-এ পুলিশের পোস্ট দেখার পর সে সম্ভবত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এরপর দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ হরিয়ানা পুলিশের সহায়তায় ফরিদাবাদে একটি বড় জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস করে। যৌথ অভিযানে ২,৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক, একাধিক অ্যাসল্ট রাইফেল এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে উমর তীব্র মানসিক চাপে ছিলেন, যা সম্ভবত এই মারাত্মক বিস্ফোরণের কারণ হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে, বিস্ফোরণটি অনিচ্ছাকৃত ছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া প্রমাণ থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিস্ফোরণটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা নাও হতে পারে। বরং উমর আতঙ্কে পালাতে চাইছিল। তখনই কোনও ভাবে বিপুল মাপের বিস্ফোরক ফেটে যায়।






















