Delhi Coronavirus Update : তিন সপ্তাহে ৪৩০% এরও বেশি বৃদ্ধি, রাজধানীতে হু হু করে থাবা বিস্তার করছে করোনাভাইরাস
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সেভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না।
নয়াদিল্লি : ফের নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস ( Coronavirus ) । দেশের পরিসংখ্যান আজ একলাফে বেড়েছে অনেকটাই। কিন্তু রাজধানীতে ( Delhi ) করোনার দাপট কয়েকদিন ধরে বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার শুধু দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩৭ জন। এখন দিল্লিতে করোনার পজিটিভিটি রেট ২৬.৫৪%। স্বাস্থ্য বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, একদিনে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে, একটি বিবৃতিতে, স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে যে দুটি ক্ষেত্রে কোভিড -19 ই ছিল মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ। অন্য তিনটি ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে ভাইরাসের অস্তত্ব ছিল।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুসারে, এখন দিল্লিতে মোট ৫,৭১৪ জন করোনা আক্রান্ত। এরই মধ্যে স্বস্তির খবর, গত ২৪ ঘন্টায় ৭৯৪ জন সেরেও উঠেছেন কোভিডকে হারিয়ে। দেখা যাচ্ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সেভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না। পরিসংখ্যান বলছে এখন কোভিড -১৯ হাসপাতালের ৭,৯৬৪ টি শয্যার মধ্যে মাত্র ৩৬০ টি বেড ভর্তি আছে। দিল্লিতে সক্রিয় করোনভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গত তিন সপ্তাহে ৪৩০% এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। পিটিআই সূত্রে খবর।
ভারতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাস মামলার বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও আতঙ্কের কারণ নেই। কারণ সেভাবে অবস্থার অবনতি হচ্ছে না বা হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনও হচ্ছে কম। এই পরিস্থিতিতে মাস্ক পরা ও পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখাই সবথেকে প্রয়োজন।
শঙ্কা কোথায়?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট XBB1.16 টিকার কবচ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়াতে পারে। গতিপ্রকৃতি যেদিকে তাতে আগামী চার সপ্তাহ কড়া নজরে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ANI সূত্রের খবর, AIIMS-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, 'সারা দেশে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। তবে এই সংক্রমণের অধিকাংশই মৃদু উপসর্গযুক্ত। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনাও তেমন বাড়ছে না। এখন ভয়ের মতো পরিস্থিতি নেই।
১৮ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোভিড ১৯-এর জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে। তাতে ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বারবার হাত ধোওয়া, অ্যালকোহল-বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তাতে। কোভিড পজিটিভ হলে এক সপ্তাহ হোম আইসোলেশনে থাকার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে।