Delhi Pollution : 'দমবন্ধ অবস্থা, ১০-১১ টি সিগারেট খাওয়ার মতো দূষণ'! স্কুলগুলো আজ থেকে বড় নিষেধাজ্ঞা
গতকালই সুপ্রিম কোর্ট কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টকে (CAQM) নির্দেশ দেয় যেন অবিলম্বে স্কুলগুলিতে বাইরে খেলাধুলো বন্ধ করতে বলা হয়।

শীত পড়তে না পড়তেই দ্রুত বাড়ছে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা। একের পর এক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রাজধানী জুড়ে বায়ুদূষণের মাত্রা 'গুরুতর'। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে দিল্লি সরকার স্কুলে স্কুলে জারি করেছে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা। ক্লাসরুমের বাইরে যাবতীয় কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন আর খেলাধুলোর ক্লাস করা যাবে না, পরবর্তী নির্দেশিকা জারি হওয়া পর্যন্ত।
গতকালই সুপ্রিম কোর্ট কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টকে (CAQM) নির্দেশ দেয় যেন অবিলম্বে স্কুলগুলিতে বাইরে খেলাধুলো বন্ধ করতে বলা হয়। বরং যাবতীয় খেলাধুলোর কর্মসূচি রাখা হোক অপেক্ষাকৃত কম-দূষণের মাসগুলিতে, মত আদালতের। দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা এতটাই ভয়ঙ্কর যে, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাচ্চাদের আউটডোর অ্যাক্টিভিটি করানো গ্যাসচেম্বারে রাখার অনুরূপ! আদালত পরামর্শ দেয় এই মাসগুলি বাদ দিয়ে অন্য সময়ে স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটিগুলো রাখা হোক। আসলে , এই শীতের সময়ই স্কুলে স্কুলে নানারকম ক্রীড়া কর্মসূচি রাখা হয়, যা শিশুদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আদালত। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই নোটিশ জারি হওয়ার পর থেকে আপাতত দিল্লিতে স্কুল পড়ুয়াদের আপাতত আউটডোর অ্যাক্টিভিটি বন্ধ।
এই সপ্তাহে, দিল্লির বাতাসের মান বিপজ্জনক স্তরে নেমে গেছে, যাকে একেবারে গুরুতর অবস্থা বলা যায়। শুক্রবার, দিল্লিতে গড় AQI 373 - যা দিনে প্রায় ১০ -১১ টি সিগারেট খাওয়ার সমান। তাই দিল্লি সরকার এই পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের বাইরে খেলাধুলো করা মোটেই সমীচীন মনে করছে না। গত সপ্তাহে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ভয়ঙ্কর স্তরে নেমে যায় । প্রাপ্তবয়স্কদেরও ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। ব্যবস্থা করা হয়েছে ‘ক্লাউড সিডিং’-এর । কিন্তু আশানুরূপ ফল মেলেনি।
এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাইরে যাওয়ার আগে প্রতিদিন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার থোকো AQI পরীক্ষা করুন । বাইরে N95 বা N99 মাস্ক পরুন । খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘোরা বেড়ানো এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে ওয়ার্কআউট কমিয়ে ইনডোর এক্সারসাইজ করতে পারেন। যদি বাইরের কাজ করতেই হয়, তাহলে দুপুরে কম দূষণের সময় করুন। বেশি দূষণের সময় ঘরের জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখুন। ঘরের বাতাস পরিষ্কার করার জন্য HEPA ফিল্টার সহ এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন।






















