DGCA Advisory:মাঝ আকাশে উধাও বিমানের জিপিএস সিগন্যাল! মোকাবিলায় অ্যাডভাইসারি GGCA-র
Civilian Aircrafts Flied Blindly Over West Asia:এবার দেশের সবকটি অসামরিক বিমান পরিষেবা সংস্থার জন্য় অ্যাডভাইসরি জারি করল তারা।
নয়াদিল্লি: মাঝ আকাশে হঠাৎ উধাও বিমানের জিপিএস সিগন্যাল! পশ্চিম এশিয়ার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় গত বেশ কিছু দিন ধরে এই সমস্যায় পড়েছেন একাধিক বিমানচালক। একের পর এক এই ধরনের রিপোর্টে চিন্তা বাড়ছিল দেশের অসামরিক বিমান পরিষেবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা DGCA-র। এবার দেশের সবকটি অসামরিক বিমান পরিষেবা সংস্থার জন্য় অ্যাডভাইসরি জারি করল তারা। তাতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সংস্থাগুলি যেন সর্বোচ্চ মানের নিয়মনীতি মেনে চলে। এ জন্য International Civil Aviation Organization যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা অনুসরণ করার কথা জানানো হয়েছে DGCA-র অ্যাডভাইসরিতে।
বিশদে...
ইরাকের উত্তর দিক থেকে আজারবাইজান পর্যন্ত আকাশপথেই মূলত এই ধরনের সমস্যার কথা বেশি শোনা যাচ্ছে। নির্দিষ্ট করে বললে ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের এরবিলের কাছেই বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। অভিযোগের ধরনটি এক্ষেত্রে মোটের উপর একই রকম। প্রথমে বিমানে একটি ভুয়ো জিপিএস সিগন্যাল আসছে। সিগন্যালে এমন বার্তা থাকছে, যা দেখে চালকের মনে হতে পারে যে নির্ধারিত রুট থেকে বহু দূর দিয়ে উড়ছে সে। সিগন্যালটি বহু ক্ষেত্রে এতটাই শক্তিশালী যে বিমানের সমস্ত ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা এলোমেলো করে দিচ্ছে, এমনই অভিযোগ। ফল? কয়েক মিনিটে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে বিমানের inertial reference system। এর পরের ধাপে, নেভিগেশনের ক্ষমতা সার্বিক ভাবে ধাক্কা খাচ্ছে। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে যা খবর, তাতে কোনও সামরিক বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চালু হওয়ার ফলেই এই সমস্যার মুখে পড়েছে বিমানগুলি। সম্ভবত, যে সব জায়গায় আঞ্চলিক অশান্তি রয়েছে, সেখানেই বসেছে এই সরঞ্জাম। আর তার ফলে নির্ধারিত রুট থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে উড়ে যাচ্ছে বিমানগুলি।
DGCA-র নির্দেশিকা...
International Civil Aviation Organization-র যে নির্দেশিকা কড়া ভাবে অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে, তাতে বিমান সংস্থা, বিমানচালক, এয়ার নেভিগেশন সার্ভিস প্রোভাইডার এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার, সকলের করণীয় খুঁটিনাটি বিবরণ দেওয়া রয়েছে। বিপদে পড়লে বিকল্প কী করা উচিত, সেটিও স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ওই নির্দেশিকায়। 'সেফটি রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট করে' করে বিমান ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কতটা থাকছে, সেটাও বলা রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, নিরন্তর DGCA-র সঙ্গে কী ভাবে সমন্বয় রাখতে হবে, সেটিও জানিয়েছে এই নির্দেশিকা। অতএব এটির উপর ভরসা রাখা ছাড়া উপায় নেই।
আরও পড়ুন:বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের পূর্বাভাস, এবার কি ঘূর্ণিঝড় 'মিগজাউম'-র অশনি সঙ্কেত?