Donald Trump : 'মহান নেতা, মহান মানুষ', পাক প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট!
ট্রাম্প বললেন, "আমাদের একজন মহান নেতা আসছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং ফিল্ড মার্শাল। ফিল্ড মার্শাল একজন খুব ভালো মানুষ, এবং প্রধানমন্ত্রীও"

কখনও ট্রাম্পের মুখে 'বন্ধু মোদি'র উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, কখনও আবার প্রশংসার তোড় পাক প্রধানমন্ত্রীর জন্য। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পাক সেনাপ্রধানের জন্য একরাশ প্রশংসার ডালি মেলে ধরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর হোয়াইট হাউসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও পাক প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালের পর এই ২০২৫ এ কোনও পাক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিশেষ কিছু জানা না গেলেও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ট্রাম্পের মুখে শরিফের প্রশংসা।
আমেরিকায় চলছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা। এর মাঝেই ওয়াশিংটনে দেখা করেন শাহবাজ। বছরের পর বছর ধরে আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের পর,হালে গলতে শুরু করেছে বরফ। তার কারণ অবশ্যই ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পিছনে ট্রাম্পের ভূমিকাকে পাকিস্তানের কৃতিত্ব দেওয়া। এরপরই বিভিন্ন সময় পাকিস্তানের প্রশংসা শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের মুখে। এবার তিনি তো একেবারে প্রশংসার শিখরে তুললেন দুই পাক নেতাকে। নির্ধারিত বৈঠকের আগে বললেন, "আমাদের একজন মহান নেতা আসছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং ফিল্ড মার্শাল। ফিল্ড মার্শাল একজন খুব ভালো মানুষ, এবং প্রধানমন্ত্রীও"
গত ২৩ সেপ্টেম্বর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং আটটি ইসলামিক-আরব দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর শাহবাজ শরিফের সঙ্গেও সাধারণ মতবিনিময় করেন।পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী একটি এক্স পোস্টে দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং পাকিস্তান সহ আটটি ইসলামিক-আরব দেশের নেতাদের মধ্যে সংলাপের পর অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় হয়। সেখানে ছিলেন
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী সিনেটের ইসহাক দার । সূত্রের খবর, হোয়াইট হাউসের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আমেরিকা এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, সন্ত্রাসবাদ, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত চড়তে শুরু করলে আমেরিকান প্রেসিডেন্টই প্রথম দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। দাবি করেন, দুই দেশের সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত গ্রহণে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন তিনিই। যদিও ভারত ট্রাম্পের এই বক্তব্য সমর্থন করেননি। তবে পাকিস্তান কার্যত আমেরিকার ভূমিকা মেনে নেয়। সেই আবহেই আস্তে আস্তে পাকিস্তান আমেরিকার 'গুড বুক' - এ আসার চেষ্টা করেন। অপারেশন সিঁদুরে পর্যুদস্ত হওয়ার পরও আমেরিকার কড়া নেড়েছেন পাক সেনা প্রধান মুনির। আমেরিকায় দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে হুঙ্কারও ছেড়েছেন। এই আবহেই ট্রাম্পের মুখে পাক প্রধানমন্ত্রী ও ফিল্ড মার্শালের প্রশংসা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য বিষয়।






















