Drone Crash:পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সময়ই কর্নাটকে ভেঙে পড়ল DRDO-এর ড্রোন
DRDO Drone: পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চলার সময়ই ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও-এর তৈরি একটি ড্রোন আছড়ে পড়ল খেতে।
বেঙ্গালুরু: পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ (test flight) চলার সময়ই ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও-এর (DRDO) তৈরি একটি ড্রোন (Drone Crash) আছড়ে পড়ল খেতে। রবিবার, TAPAS 07 A-14 শীর্ষক ওই 'আনম্যানড এরিয়্যাল ভেহিকল' কর্নাটকের (Karnataka) হিরিয়ার তালুকের ভাড়িক্কেরে গ্রামের ঠিক বাইরে ভেঙে পড়ে। ড্রোন ভাঙার বিকট শব্দে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হল স্থানীয় প্রশাসনে। পরে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা বিষয়টি জানান।
কী জানা গেল?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, ' ডিআরডিও-এর তরফে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিশদ জানানো হচ্ছে। কেন এমন হল, জানতে তদন্তও চালানো হচ্ছে।' TAPAS-BH UAV ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি।
- 'ট্যাকটিকাল এরিয়্যাল প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাডভান্সড সার্ভেলেন্স-বিয়ন্ড হরাইজন'-এর সংক্ষিপ্ত ফর্ম হল TAPAS-BH
- এরো ইন্ডিয়া এয়ার শো এবং এভিয়েশন ডিসপ্লে, ২০২৩ সালে প্রথম, উদ্বোধনী উড়ান হয় এটির
- গোয়েন্দা তথ্য জোগাড়, নজরদারি চালানো, লক্ষ্য উদ্ধার, লক্ষ্যে নজর রাখা এবং তা পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা বাহিনীর এই সমস্ত প্রয়োজনের 'সলিউশন' হিসেবে এই UAV তৈরি করেছে ডিআরডিও
- ২৮ হাজার ফুট উচ্চতাতেও কার্যকরী এটি, সক্রিয় উড়ান টানা ১৮ ঘণ্টার
- সাবেক নাম ছিল রুস্তম-II। স্বয়ংক্রিয় বা রিমোট, যে কোনও ভাবে পরিচালনা করা যায় এই ড্রোনটি। তবে অবশ্য়ই তা আগেভাগে প্রোগ্রাম করে দিতে হবে।
- দিনের আলো এবং রাতের আঁধার, দুই সময়ই সমান কার্যকরী TAPAS-BH
ভাঙার কারণ...
সূত্রের খবর, এমন একটি ড্রোন হঠাৎ কেন ভেঙে পড়ল, তা নিয়ে যারপরনাই উদ্বিগ্ন নানা মহল। প্রসঙ্গত, গত জুনেই আমেরিকার কাছ থেকে শিকারি ড্রোন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। জানা গিয়েছিল, ওই ড্রোন ভূপৃষ্ঠের অনেক উঁচু দিয়ে উড়তে সক্ষম। ফলে সহজে ঠাহর করা যায় না। একটানা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে এই শিকারি ড্রোনের। নির্ভুল লক্ষ্য়ে, একেবারে বিন্দুসমান অবস্থান হলেও, শত্রুপক্ষের উপর আঘাত হানতে সক্ষম। দিল্লি সূত্রে খবর মিলেছিল, দেশের সীমান্ত এলাকায় শত্রুপক্ষের গতিবিধির উপর নজর রাখতে ব্যবহার করা হবে এই শিকারি ড্রোন। ভারতীয় জলসীমায় নজরদারি চালাতেও এই শিকারি ড্রোন উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। এমনকি নৌবাহিনীর উদ্যোগেই এই শিকারি ড্রোন কেনার তৎপরতা শুরু হয় বলেও জানা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:২৩ অগাস্ট থেকে বন্ধ থাকবে অমরনাথ যাত্রা, ঘোষণা সরকারের