দুর্গাপুরে ব্যারাজ বিপর্যয়: পুরোপুরি বন্ধ ডিপিএল, স্তব্ধ মেজিয়া থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের ২টি ইউনিটও, তীব্র জল-বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা
ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর পুর এলাকায় শুরু হয়েছে জলের হাহাকার, গ্রিড থেকে বিদ্যুত্ নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছ...
দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে ব্যারাজ বিপর্যয়ের জেরে চারদিন ধরে বন্ধ জল সরবরাহ। আর তার জেরে মঙ্গলবার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড বা ডিপিএল-এর বিদ্যুত্ উত্পাদন।
সোমবারই ডিপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, যে পরিমাণ জল মজুত রয়েছে, তাতে ৩-৪ দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হবে না। কিন্তু, মঙ্গলবার সকালেই দেখা গেল বন্ধ হয়ে গিয়েছে উত্পাদন।
ডিপিএল সূত্রে খবর, অনেকদিন থেকেই ১ থেকে ৬ নম্বর ইউনিটে বিদ্যুত্ উত্পাদন বন্ধ। সম্প্রতি বন্ধ রাখা হয় ৮ নম্বর ইউনিটের উত্পাদনও। শুধুমাত্র ৭ নম্বর ইউনিটটিই চালু ছিল।
সোমবারও ৭ নম্বর ইউনিট থেকে ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হয়। জল-সমস্যার কারণে মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে গেল সেই ইউনিটটিও। ডিপিএল সূত্রে খবর, আপাতত, গ্রিড থেকে বিদ্যুত্ নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হবে।
শুধু ডিপিএল-এর কারখানাতেই জলসঙ্কট নয়, প্রশাসনিক ভবনেও জল শেষ। অন্যদিকে জলসঙ্কটের জেরে বন্ধ হয়ে গেল বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের আরও একটি ইউনিট। দুর্গাপুর ব্যারাজের জলের উপর নির্ভরশীল মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র।
শনিবার ভোরে হঠাত্ই ভেঙে যায় ব্যারাজের ৩১ নম্বর লকগেট। দুদিন কোনওমতে উৎপাদন চালু থাকলেও, সোমবার সন্ধে গড়াতেই বন্ধ করে দিতে হয় ৮ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন! আর মঙ্গলবার সকালে বন্ধ করা হয় ৭ নম্বর ইউনিটটিও।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে রয়েছে ৮টি ইউনিট। প্রতিদিন ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। ৭ ও ৮ দুটি ইউনিট থেকেই দৈনিক সাড়ে চারশো ইউনিট বিদ্যুত্ উত্পাদন হত। ফলে বিদ্যুৎঘাটতির পরিমান ৯০০ মেগাওয়াট।
মেজিয়া তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় রেল, ইসিএল-এ। এছাড়াও গ্রিডের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড এমনকী বাংলাদেশেও বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়।