S Jaishankar : "অতীতের মতোই আফগানিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছুক ভারত", রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন বিদেশমন্ত্রী
আফগানিস্তান নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ভারতের তরফে বক্তব্য রাখলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
নয়া দিল্লি : আফগানিস্তানে মানবিক পরিস্থিতি কেমন ? সেখানকার পরিস্থিতি কেমন বা আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বা উদ্বেগই-বা কী ? রাষ্ট্রসংঘের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এনিয়ে ভারতের তরফে বক্তব্য রাখলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, আফগানিস্তান একটি সংকটময় ও চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে। সেখানকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির মধ্যে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। সেখানে মানবিকতার প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিবেশী হিসেবে ভারত সেখানকার পরিস্থিতির অগ্রগতির দিকে নজর রাখছে। এদিকে ইউএনডিপি সম্প্রতি মূল্যায়ন করে দেখেছে যে, আফগানিস্তানে দারিদ্রের মাত্রা ৭২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৭ শতাংশ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে।
এর পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, যাঁরা আফগানিস্তানে যেতে চান বা সেখান থেকে আসতে ইচ্ছুক, তাঁদের বাধা দেওয়া উচিত নয়। কাবুল বিমানবন্দরের নিয়মিত বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করা শুধুমাত্র ভ্রমণে সাহায্যই করবে না, ত্রাণসামগ্রী নিয়মিত পাঠানোও যাবে।
আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারতের অবস্থান নিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানের ওপর ভারতের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। সেখানকার জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এভাবেই চলতে থাকবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ব্রিকস্ সম্মেলনে প্রত্যাশিতভাবেই ওঠে আফগানিস্তান ইস্যু। নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, আফগানিস্তানের প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। হিংসা এড়িয়ে এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ভারত। কাবুল বিমানবন্দরে আইএস খোরাসানের আত্মঘাতী হামলার কঠোর নিন্দা করে নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন ; হিংসা এড়িয়ে আফগানিস্তানের সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ভারত, ব্রিকস সম্মেলনে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সকলের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে ভারতের বার্তা, জঙ্গি সংগঠনগুলি যাতে আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে অন্য দেশে নাশকতা না চালাতে পারে, সে দিকটিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। ব্রিকসের মঞ্চে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির জন্য আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে দায়ী করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।