Earthquake Alert : বিরাট ভূমিকম্পে ধূলিসাৎ হবে শহর, অনিবার্য লক্ষ-লক্ষ জীবনহানিও, বিরাট আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
বিজ্ঞানীরা বিশ্বের কয়েকটি জায়গায় একটি বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন। মনে করা হচ্ছে , ভূমিকম্পের অভিঘাত এতটাই তীব্র হতে পারে যে, লক্ষ লক্ষ মানুষও মারা যেতে পারেন।

সপ্তাহের প্রথম দিন ভয়াবহ কম্পনে ঘুম ভাঙল রাজধানী দিল্লির। রেল স্টেশনে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর বিভীষিকা এখনও কাটেনি। এবার ভূকম্পনের আতঙ্ক ! ভোর ৫.৩৭ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে দিল্লির মাটি। কম্পন এতটাই তীব্র ছিল বেশ কিছুক্ষণ ধরে কাঁপতে থাকে বহুতলগুলি। মানুষ ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। পাখিরা ডেকে ওঠে সমস্বরে।
National Centre for Seismology-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.০। কেন্দ্রস্থল ছিল নয়াদিল্লির পাঁচ কিলোমিটার গভীরে, ২৮.৫৯ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৭.১৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। সারা বিশ্বেও ঘটেছে ছোট-বড় অনেকগুলি ভূমিকম্প। বিজ্ঞানীরা বিশ্বের কয়েকটি জায়গায় একটি বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন। মনে করা হচ্ছে , ভূমিকম্পের অভিঘাত এতটাই তীব্র হতে পারে যে, লক্ষ লক্ষ মানুষও মারা যেতে পারেন।
মাত্র দুই সপ্তাহে প্রায় ৮,০০০ ভূমিকম্প
সারা পৃথিবীতে কয়েকটি জায়গা ভূমিকম্পপ্রবণ। গ্রিসের উপকূলে একের পর এক ভূমিকম্পে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গ্রীসের সান্তোরিনির কাছে দুই সপ্তাহে বহুবার মাটি কেঁপে উঠেছে। সংখ্যাটা শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। ১৫ দিনে প্রায় ৮,০০০ বার কেঁপে উঠেছে সৈকত শহর সান্তোরিনির মাটি। এর ফলে গ্রিসের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র সান্তোরিনিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিকম্প নিয়ে চর্চা করেন, এমন বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা এই এলাকায় যে কোনও সময় বড় বিপদ নেমে আসতে পারে।
অন্যদিকে আবার জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেসের বিজ্ঞানী মার্কো বোনহফের মতে, ভূমিকম্পের মোটামুটি গড় হিসেব দেখলে বোঝা যাবে, ইস্তানবুলে প্রায় প্রতি আড়াইশো বছরে একটা করে বড় ভূমিকম্প হয়। সর্বশেষ বিধ্বংসী ভূমিকম্পটি হয়েছিল ১৭৬৬ সালে। আবার যদি ২৫০ বছরে একবার করে ভূমিকম্প হয়, তাহলে সেখানে ইতিমধ্যেই আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের সময়সীমা অতিক্রম করেছে। তাহলে কি বড় বিপর্যয়ের দিন গুণছে ইস্তানবুল ? আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই একটি বড় ভূমিকম্প হতে পারে সেখানে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।
ভূকম্পবিদ নাসি গোরুও একই রকম উদ্বেগের কথাই শুনিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ইস্তাম্বুলের লক্ষাধিক বাড়ি বড় ভূমিকম্প হলে ধসে যেতে পারে। তাঁর আশঙ্কা, বড় একটা ভূমিকম্প হলে ইস্তানবুলে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবেন। একটা বিরাট বিপর্যয় ঘটতে চলেছে।
ইলদিজ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুকরু এরসারে সতর্ক করে বলেছেন, ইস্তানবুল কোনও বড় ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত নয়। অর্থাৎ এখানকার বাড়-ঘর-পরিকাঠামো কোনওটাই ভূমিকম্পের ঝুঁকির কথা ভেবে তৈরি নয়। শহরের জনসংখ্যাও প্রচুর। এখানে কিছু হলে ক্ষয়ক্ষতি কমানো কঠিন। তুরস্কের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী মুরাত কুরুমও স্বীকার করেছেন, ইস্তাম্বুলের পরিকাঠামো একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করার উপযোগী নয়।






















