রাতবিরেতে থরথরিয়ে কাঁপল মাটি! বাড়িতে বড় ফাটল, ফের প্রবল ভূমিকম্প তুরস্কে
২ বছর আগেই ভূমিকম্পে গিয়েছিল ৫০ হাজারেরও বেশি প্রাণ! আবারও থরথরিয়ে কেঁপে উঠল তুরস্ক

সালটা ছিল ২০২৩ । প্রবল ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্ক ও সিরিয়া। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫৫,০০০ ছাড়িয়ে যায়। শুধুমাত্র তুরস্কেই মৃত্যু হয় ১৭ হাজারের বেশি। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুটি দেশে আহতের সংখ্যা ৭৫ হাজারেরও বেশি ছিল।আবার পুরনো আতঙ্ক উস্কে দিয়ে কেঁপে উঠল তুরস্কের মাটি। সোমবার (২৭ অক্টোবর) ফেল কেঁপে ওঠে তুরস্কের মাটি।
রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.১। বিপর্যয় ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এএফএডি)-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল বাল্যকেসির প্রদেশের সিন্দির্গি শহর। ইস্তানবুলেও কম্পন অনুভূত হয়। তুরস্কে সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত ১০:৪৮ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। হাবেরতুর্ক নিউজ চ্যানেল অনুসারে, ভূমিকম্পের ধাক্কা অনুভূত হয়েছে ইস্তানবুল, বুরসা, মানিসা এবং ইজমির প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া বলেছেন, সিন্দির্গিতে কমপক্ষে তিনটি বাড়ি এবং একটি দোকান ভেঙে পড়েছে। সিন্দির্গির জেলা প্রশাসক ডোগুকান কোয়ুঞ্চু জানিয়েছেন, ''এখনও পর্যন্ত কোনও ধরনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, তবে এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।''
২০২৩ সালে হাজারো মানুষের মৃত্যু
তুরস্কের ২০২৩ সালটা বেশ ভয়াবহ ছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্পের কারণে হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। রেড ক্রস অর্গানাইজেশন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভূমিকম্পের কারণে ৫৫,০০০-এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। এই প্রথম ভূমিকম্পের কম্পন ছিল ৭.৮ তীব্রতার। এরপর দ্বিতীয়টি ছিল ৭.৫ তীব্রতার। যেখানে তৃতীয় কম্পন ছিল ৬.৪ তীব্রতার।
מבנים רבים קרסו באזור מוקד הרעש דרומית לאיסטנבול.#earthquake #Turkey #Istanbul
— מה חדש. What's new❓ (@Gloz111) October 27, 2025
ভারতে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় সোমবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পের হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছে, যদিও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। পিটিআই স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানিয়েছে, সন্ধ্যা প্রায় পৌনে সাতটায় ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়।
প্রশাসন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৩.৪ মাপা হয়েছে এবং ভূমিকম্পের কেন্দ্র চামোলি জেলায় ভূপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে ছিল। ভূমিকম্পের তীব্রতা ন্যাশনাল ভূমিকম্প সেন্টার (এনসিএস) মূল্যায়ন করেছে।






















