Japan Earthquake: এখনও নিখোঁজ শতাধিক, ধ্বংসস্তূপ চারিদিক, তার মধ্যেই ফের তীব্র ভূমিকম্প জাপানে
Earthquake in Japan: জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মূল দ্বীপের অন্তর্গত নিগাতা বন্দর এদিন তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে।
নয়াদিল্লি: ফের ভূমিকম্পে কাঁপল জাপান। মঙ্গলবার ফের মাটি কাঁপল জাপানের। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.০। তবে এখনও পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি। জাপানের মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, জাপান উপকূলের সন্নিকটে, সমুদ্রের নিচ থেকে কম্পন ছড়িয়ে পড়ে। তার প্রভাব এসে পড়ে স্থলভূমিতেও। বছরের শুরুতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় এই ভূমিকম্পের জেরেই। ফের তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হল সেদেশের। (Japan Earthquake)
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মূল দ্বীপের অন্তর্গত নিগাতা বন্দর এদিন তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, বিকেল ৫টা বেজে ৫৯ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল সাদো দ্বীপ নিকটবর্তী এলাকা। বছরের শুরুতে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই ফের মাটি কেঁপে ওঠায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নতুন করে মাটি কেঁপে ওঠায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। (Earthquake in Japan)
এর আগে, নতুন বছরের শুরুতেই, গত ১ জানুয়ারি তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ১৫০ বার কাঁপে দেশের মাটি। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আফটার শকও অনুভূত হয় প্রায় ৬০০ বার। সেবার কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৫। এখনও পর্যন্ত তাতে ২০০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ১০০-র বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। প্রচুর বাড়িঘর ধুলোয় মিশে গিয়েছে। সেই আবহেই ফের মাটি কাঁপল জাপানে।
১ জানুয়ারির সেই ভূমিকম্প এবং আফটারশকের পর এখনও দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপ হয়ে রয়েছে। সেখানে প্রায় ৩৫০০ মানুষ এখনও আটকে রয়েছেন বলে খবর। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রথমে ১৮০ জন নিখোঁজ বলে জানানো হয় প্রশাসনের তরফে, পরে তা ১২০-তে নামিয়ে আনা হয়। আরও কমে নিখোঁজের সংখ্যা ১০২ হয়েছে বর্তমানে।