(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Eli Lilly for Covid19: করোনার মৃদু উপসর্গের জন্য Eli Lilly-র অ্যান্টিবডি ককটেল ওষুধকে অনুমোদন DCGI-এর
করোনার মৃদু ও মাঝারি উপসর্গের চিকিৎসার জন্য আমেরিকার ওযুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা Eli Lilly and Co-এর অ্যান্টিবডি ড্রাগস কম্বিনেশনকে অনুমোদন দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
নিউ দিল্লি : করোনা চিকিৎসায় আরও একধাপ এগলো দেশ। করোনার মৃদু ও মাঝারি উপসর্গের চিকিৎসার জন্য আমেরিকার ওযুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা Eli Lilly and Co-এর অ্যান্টিবডি ড্রাগস কম্বিনেশনকে অনুমোদন দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
আমেরিকার কোম্পানির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে সীমিত ক্ষেত্রে একরঙা এই অ্যান্টিবডি ড্রাগ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে DCGI। করোনার মৃদু ও মাঝারি উপসর্গ রয়েছে এমন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে Bamlanivimab ৭০০ এমজি এবং Eesevimab ১৪০০ এমজি ব্যবহার করা যাবে।
সংস্থার তরফে আরও বলা হয়েছে, ভারত সরকার ও রেগুলেটরি অথরিটির সঙ্গে Lilly-র তরফে কথা চলছে। তাদের বলা হচ্ছে, করোনা চিকিৎসায় গতি আনার জন্য Bamlanivimab ও Eesevimab জোগান দিতে।
ভারতের আগে করোনা চিকিৎসায় Bamlanivimab ও Eesevimab কম্বিনেশনের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলি। Eli Lilly and Co-এর ভারতের MD লুকা ভিসিনি বলেন, ভারতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সরিতে রয়েছেন যেসব স্বাস্থ্যকর্মী, তাঁদের হাতে করোনা চিকৎসায় আরও একটি বিকল্প তুলে দিতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট।
প্রসঙ্গত, এর আগে মে মাসে করোনা সন্দেহ করা হচ্ছে বা যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে ব্যারিসিটিনিব ও রেমডিসিভির-এর কম্বিনেশনের ব্যবহারের জন্য Eli Lilly-কে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
এই ওষুধগুলি ছাড়াও ভারতে তিন ধরনের ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলি হল-কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড ও নতুন সংযোজন রাশিয়ার স্পুটনিক ভি। কোভ্যাকসিন তৈরি করছে হায়দরাবাদের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক এবং কোভিশিল্ড স্থানীয়ভাবে তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। তবে ভ্যাকসিনের অভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া কার্যত ব্যাহত হচ্ছে। যদিও গত রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জুন মাসেই প্রায় ১২ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে দেশে।