ডাক্তারদের জইশ-যোগ? ভারতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার পর্দাফাঁস ! জড়িত মহিলা চিকিৎসকও?
Explosives Recovered : পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও নাশকতার ছক কষা হচ্ছে। আর তার জাল বিছোনো চলছে কাশ্মীর থেকে। রাজধানী দিল্লির অদূরেই তাই মজুত করা হচ্ছে এত পরিমাণ আরডিএক্স।

ভারতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার পর্দাফাঁস করা হল! বড়সড় হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের। এখনও পর্যন্ত ২ চিকিৎসক সহ ৭ জন জঙ্গি গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির অদূরেই ফরিদাবাদ থেকে ৩০০ কিলোগ্রামের বেশি বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের আশঙ্কা, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিরাট ষড়যন্ত্রের জালের একটা সুতো মাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও নাশকতার ছক কষা হচ্ছে। আর তার জাল বিছোনো চলছে কাশ্মীর থেকে। রাজধানী দিল্লির অদূরেই তাই মজুত করা হচ্ছে এত পরিমাণ আরডিএক্স।
জম্মু কাশ্মীর জঙ্গি কার্যকলাপ দমন করার লক্ষ্যে বহুদিন ধরেই তৎপর উপত্যকার পুলিশ। এই তল্লাশিতে প্রথমে উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক আদিল ও হরিয়ানার চিকিৎসক মুজাম্মিলকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, জইশ ই মহম্মদ ও আনসার গজবাতুল হিন্দের সঙ্গে যুক্ত তারা। এরপর হরিয়ানার চিকিৎসক মুজাম্মিলকে জেরা করে এই বিস্ফোরক মজুত করার খবর পায় জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ। জম্মু কাশ্মীর থেকে ধরা পড়া দুই ডাক্তারের মধ্যে একজনের বাড়ি ফরিদাবাদে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি রাইফেল ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। আর এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল এবং গুলি রাখার জন্য কটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই গাড়িটি কিন্তু ধৃত ডাক্তার মুজাম্মিল শাকিলের নয়। পুলিশ শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর, ফরিদাবাদের কোড HR 51 দিয়ে শুরু হওয়া মারুতি সুজুকি সুইফট গাড়িটির সন্ধান করে ও বাজেয়াপ্ত করে। তাতেই পুলিশ ৩৫০কেজি বিস্ফোরক, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ২০ টি টাইমার এবং অন্যান্য সন্দেহজনক জিনিসপত্র উদ্ধার করে। একটি ভাড়া করা বাসা থেকে এই উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের মতে, শাকিল গত তিন বছর ধরে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ স্কুল অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে একজন সিনিয়র ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ক্যাম্পাসে থাকতেন, তবে ধোজে একটি ঘর ভাড়াও নিয়েছিলেন। দশ দিন আগে পুলিশ তার সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে গোয়েন্দা মারফৎ জানতে পারে। তাপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে-ই জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে পুলিশকে তার সহকর্মীর ভাড়া করা ঘর এবং সুইফট গাড়ির কথা জানায়।
সূত্রের খবর, তল্লাশিতে বিস্ফোরক পদার্থে ভরা ৮টি বড় স্যুটকেস এবং ৪টি ছোট স্যুটকেস পাওয়া যায়, তাতে সম্ভবত ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং হরিয়ানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই গাড়ি থেকে একটি AK-74 অ্যাসল্ট রাইফেল, ম্যাগাজিন, ৮৩ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি, ২টি খালি কার্তুজ এবং আরও ২টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওই মহিলা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক দুই সপ্তাহ আগে শাকিলের কাছে পৌঁছয়। পুলিশ সন্দেহ করছে যে তার জৈশ-ই-মহাম্মদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে।






















